চির নিদ্রায় শায়িত সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ

  • ২৮-Apr-২০১৯ ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক মাহফুজউল্লাহ। জানাজায় দেশের রাজনীতিক, সুধীজনদের পাশাপাশি পারিবারিক আত্মীয়স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার বেলা ১১টায় থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন। মৃত্যুকাল তার বয়স হয়েছিলো ৬৯ বছর। গত ২ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছিল মাহফুজউল্লাহকে। ১১ এপ্রিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ব্যাংককে নেয়া হয়। সেখানে তিন সপ্তাহ ধরে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

জানাজা শেষে সর্বোস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় প্রিয় এই সাংবাদিককে।

এসময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এদেশের যে কয়জন প্রথিতযশা সাংবাদিক, তার মধ্যে মাহফুজ উল্লাহ নিঃসন্দেহে অন্যতম। অসাধারণ একটা বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষ। যিনি সাংবাদিকতাকে শুধু পেশা হিসেবে নেয়নি, নেশা হিসেবে নিয়েছিলেন। তিনি হঠাৎ এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন ভাবতেও পারিনি। আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসিব করুন।

প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, সময়ের অগ্রগামী গবেষক, লেখক, সাংবাদিক সাহিত্যিক মাহফুজ উল্লাহ মানুষ হিসেবে অত্যন্ত চমৎকার ছিলেন। তিনি ছিলেন সব দল মতের ঊর্ধ্বে একজন ভালো মানুষ। সবাইকে তিনি ভালোবেসেছেন, সবাই তাকে ভালোবাসতেন।

সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ ভাই তিনি সবসময় প্রেসক্লাবে আসতেন। গত ৩০ বছর ধরে তিনি আমাদের অভিভাবকের মতো ছিলেন। প্রেসক্লাব দীর্ঘদিন তার অভাব অনুভব করবে।

প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান এমপি বলেন, আমরা আমাদের একজন প্রিয় বন্ধুকে হারালাম। সাংবাদিক সমাজ একজন মেধাবী সাংবাদিককে হারালো। আমরা মহসিন হলে একই ফ্লোরে থাকতাম। তিনি বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। আমি ছাত্রলীগ করতাম। আমাদের মধ্যে বিতর্ক হতো, কিন্তু কখনও তিক্ততা হয়নি।

বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ আদর্শ, নীতি, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও সততার প্রমাণ রেখে গেছেন। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। আমাদের মধ্যে মতের অমিল থাকলেও তিনি যে বস্তুনিষ্ঠতা চর্চা করে গেছেন সেটা যেন আমরা ধরে রাখতে পারি।

Ads
Ads