ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’, বাংলাদেশে কাল সন্ধায়!

- ২-মে-২০১৯ ১২:৫৪ অপরাহ্ন
:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::
আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী। এর প্রভাবে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তনমে ১১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। সেই সঙ্গে হচ্ছে তুমুল বৃষ্টি। জানা যায়, তীব্র বাতাসে অঞ্চলটির বাসিন্দাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জীবন বাঁচাতে নিরাপদে আশ্রয় নিচ্ছে সবাই।
ফণীর বাতাসের তোড়ে বিভিন্ন রাস্তার পাশে গাছ এবং ইলেকট্রিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। এরই মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় কাঁচা বাড়ির বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ব্লকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রস্তুত আছে পুলিশ-প্রশাসন।
এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে ও ভারত মহাসাগরে যতগুলো ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে তার কোনোটি কখনই ফণীর মতো এতো শক্তিশালী আকার ধারণ করেনি।
ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড় ফণী অবস্থান করবে সারা রাত। শনিবার (৪ মে) উত্তর দিক দিয়ে বেরিয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড়টি।
বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত হানার সম্ভাবনা ৬০ ভাগ জানিয়ে আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৭, চট্টগ্রামে ৬ নম্বর ও কক্সবাজারে ৪ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী শক্তিশালী হয়ে ভারতের ওডিশার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানান, আগামীকাল শুক্রবারের (৩ এপ্রিল) মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি প্রচণ্ড শক্তিশালী রূপ নিয়ে ওডিশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে।