ঘূর্ণিঝড়-বজ্রপাতে সারাদেশে ১৪ জনের প্রাণহানি

  • ৪-মে-২০১৯ ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ঝড় ও বজ্রপাতে সারাদেশে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে আজ শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত তাদের মৃত্যু হয়।

ভোরের পাতা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর অনুযায়ী:

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চরজব্বর ইউনিয়নের চর আমিনুল হক নামক গ্রামটি টর্নেডোতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। শনিবার ভোর ৪টায় এক থেকে দেড় মিনিটের এ টর্নেডোতে প্রায় শতাধিক বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ঘরচাপা পড়ে ইসমাইল হোসেন (২) হোসেন নামে শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৩০-৩৫ জন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভোলা: ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে শনিবার ভোলার সাত উপজেলায় প্রায় শতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। জেলার দক্ষিণ দিঘলদী এলাকায় ঘরচাপা পড়ে রাণী বেগম (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও ভোলার বোরহানউদ্দিনের চর জহিরউদ্দিন, তজুমদ্দিনের চর মোজাম্মেল, মনপুরার চর নিজাম, চরফ্যাশনের ঢাল চর, কুকরী-মুকরী, চর পাতিলাসহ কয়েকটি চরে ঘর-বাড়ি ও গাছের ডাল ভেঙে পড়ে প্রায় ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন।

মাদারীপুর: ঘূর্ণিঝড় ফণীকে ঘিরে দেয়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচলের সময় গতকাল বিকেলে এক যাত্রী নিহত ও ১০ যাত্রী আহত হন। এ ঘটনায় আমির হামজা নামে ৬ বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। শিশুটি উদ্ধার করতে ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল পদ্মা নদীতে কাজ শুরু করলেও বৈরী আবহাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে। এ দুর্ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ৯ স্পিডবোট চালককে আটক করেছে পুলিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বজ্রপাতে আপেল মিয়া (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টির সময় নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের বগডহর গ্রামে এ বজ্রপাত হয়। নিহত আপেল ওই গ্রামের উরমুজ আলীর ছেলে। তিনি ক্ষেতে ধান কাটতে গিয়েছিলেন।

বাগেরহাট: প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে বইছে ঝড়ো হাওয়া। সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে চোরামনকাটি গ্রামে ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে শাহানুর বেগম (৩৫) নামে এক নারী নিহত হন। তিনি ওই গ্রামের মোজাহারের স্ত্রী।

বরগুনা: বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে কাঠের ঘর ভেঙে পড়ে দাদি ও নাতির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদুয়ানি গ্রামের বাঁধঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- নুরজাহান (৬০) ও তার নাতি জাহিদুর (৯)। জাহিদুর বাঁধঘাট এলাকার ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে।

নেত্রকোনা: নেত্রকোনার মদন উপজেলায় গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের কদমশ্রী হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আব্দুল বারেক (৩৫)। তিনি মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের মনিকা পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত রোমালির ছেলে।

কিশোরগঞ্জ: ফণীর প্রভাবে গতকাল শুক্রবার কিশোরগঞ্জের কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, মিঠামইন ও ইটনা উপজেলায় বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাকুন্দিয়ার তিনজন, মিঠামইনের দুইজন ও ইটনার একজন রয়েছেন। নিহতরা হলেন- আসাদ মিয়া (৫৫), নুরুন্নাহার (৩০), মহিউদ্দিন (২৩), সুমন মিয়া (৭) ও রুবেল দাস (২৬)।

Ads
Ads