জিপিএ-৫ এবং পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে

  • ৬-মে-২০১৯ ০৮:০১ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সবগুলো শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে পাসের হার এবং জিপিএ-৫, দু’দিক দিয়েই ছাত্রদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। পরীক্ষার্থী ছাত্র বেশি হলেও ফলাফলে ছাত্রীর সংখ্যাই বেশি।

সোমবার (০৬ মে) ঘোষিত ২০১৯ সালের এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার ফলাফলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি জানান, এ বছরের পরীক্ষায় ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীদের পাসের হার ২.১৫ শতাংশ বেশি।

এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ২১ লাখ ২৭ হাজার ৮১৫ জন। ছাত্র ১০ লাখ ৬৮ হাজার ৫২৭ জন ও ছাত্রী ১০ লাখ ৫৯ হাজার ২৮৮ জন। এর মধ্যে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪১ জন ছাত্র পাস করেছে। অন্যদিকে ছাত্রী পাস করেছে ৮ লাখ ৮২ হাজার ২২৪ জন।

শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণের হার: ছাত্র ৮১.১৩ শতাংশ এবং ছাত্রী ৮৩.২৮ শতাংশ। পরীক্ষার্থী ছাত্র বেশি হলেও ছাত্রী পাস করেছে বেশি।

জিপিএ-৫ এ-ও এগিয়ে মেয়েরা। ১০ বোর্ডে মোট জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। এদের মধ্যে ৫২ হাজার ১১০ জন ছাত্র এবং ৫৩ হাজার ৪৮৪ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের তথ্যে দেখা গেছে, ৮ বোর্ডে মোট ১৬ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৮ লাখ ২০ হাজার ৯৮০ জন এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৬৭২ জন। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৬২ জন ছাত্র এবং ৭ লাখ ২৯ হাজার ৮৯৫ জন ছাত্রী।

পাসের হার ছাত্র ৮২.০১ শতাংশ এবং ছাত্রী ৮৩.৫৪ শতাংশ। এ বছরের পরীক্ষায় ৮ সাধারণ বোর্ডে ছাত্রের তুলনায় ৫২ হাজার ৬৯২ জন ছাত্রী বেশি অংশ নিয়েছে এবং ৫৬ হাজার ৬৩৩ জন ছাত্রী বেশি পাস করেছে।

ছাত্রের তুলনায় ১.৫৩ শতাংশ ছাত্রী বেশি পাস করেছে এ বছরের পরীক্ষায়।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। সেখানেই বিস্তারিত ফলাফল প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ ফল তুলে দিতেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা। তবে এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থাকায় তার অনুমতিক্রমে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য, মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে, নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল পাওয়া যাবে। মোবাইলে ফল পেতে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

মাদরাসা বোর্ডের ক্ষেত্রে Dakhil লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

এছাড়াও কারিগরি বোর্ডের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার ফল জানতে ssc লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। এর জন্য চার্জ প্রযোজ্য হবে ২.৪৪ টাকা।

এছাড়া শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট http://www.educationboardresults.gov.bd থেকেও পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবে।

Ads
Ads