অতিরিক্ত আইজিপি রৌশন আরার মরদেহ দেশে পৌঁছেছে

- ৯-মে-২০১৯ ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ
:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::
কঙ্গোয় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) রৌশন আরা বেগমের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় তার মরদেহবাহী টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজাজাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সকাল সাড়ে ৬টায় বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে রৌশন আরার মরদেহ বের করা হয়। এরপর মরদেহটি রাজধানীর হাতিরঝিল মহানগর প্রজেক্ট আবাসিক এলাকার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গতকাল পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) মো. সোহেল রানা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর মগবাজার নয়াটোলা জামে মসজিদে প্রথম জানাজা এবং দুপুর ১২টায় মগবাজার ওয়্যারলেস জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বেলা ১ টা ৩০ মিনিটে (বাদ জোহর) রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে তার সর্বশেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এ জানাজায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবসহ পুলিশের সবস্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
জানাজা ও শ্রদ্ধা শেষে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে তাকে।
পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টরের দায়িত্বে থাকা রৌশন জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ ফ্রন্ট পুলিশ ইউনিটের মেডাল প্যারেডে যোগ দিতে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে গিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ ফ্রন্ট পুলিশ ইউনিটের কমান্ডার (এসপি) ফারজানার গাড়িতে করে গত ৫ মে সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় লরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাদের বহনকারী গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই মারা যান রৌশন আরা।
১৯৬২ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া রৌশন আরা বেগম মগবাজারের টিঅ্যান্ডটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স করে ১৯৮৮ সালে তিনি যোগ দেন বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে।
রৌশনই দেশের পুলিশ বিভাগের প্রথম নারী অফিসার, যিনি পুলিশ সুপারের দায়িত্বে জেলা পুলিশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। অতিরিক্ত আইজিপির পদে বাংলাদেশের দ্বিতীয় নারী অফিসার ৫৭ বছর বয়সী রৌশন আরা।