সোনাগাজীর সেই ওসির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

- ২৭-মে-২০১৯ ০৭:৫১ পূর্বাহ্ণ
:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ফেনীর সোনাগাজি থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসলাম জগলুল হোসেনের আদালত এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এর আগে গতকাল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন। ওসির বিরুদ্ধে সব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।
গত ১৫ এপ্রিল সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আদালতে মামলা করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৬, ২৯ ও ৩১ ধারায় করা অভিযোগটি পিটিশন মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রীমা সুলতানা ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান।
এদিকে পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল জানিয়েছেন, মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করে এ মাসেই অভিযোগপত্র দেয়া হবে। এতে বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলা, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনসহ ১৬ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হতে পারে।
গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। বোরকা পরিহিত কয়েকজন কৌশলে তাকে ছাদে ডেকে নিয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত।
এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা, পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।
এর আগে ২৭ মার্চ রাফিকে নিজ কক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২২ জনকে। তাদের মধ্যে সিরাজ উদ্দৌলাসহ ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।