এক হয়ে কাজ করলে বিশ্বের প্রত্যাশা পূরণে নেতৃত্ব দিতে হবে এশিয়াকেই: প্রধানমন্ত্রী

  • ৩০-মে-২০১৯ ০৮:১৩ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমিত করে এশীয় দেশগুলো কীভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে সমৃদ্ধির পথে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারে, সেই পথ খোঁজার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এশিয়ার সব দেশ যদি এক হয়ে কাজ করতে পারে, তাহলে এই অঞ্চল বিশ্বকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে চলতে পারবে। 

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতা, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও তাত্ত্বিকদের অংশগ্রহণে নানা চ্যালেঞ্জ ও সংঘাতে জর্জরিত বর্তমান বিশ্ব কাঠামোতে কীভাবে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমতার ভিত্তিতে উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া যায়, সে বিষয়ে নিজের ভাবনা তিনি তুলে ধরেছেন ‘দ্য ফিউচার অব এশিয়া’সম্মেলনে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এশিয়ার মধ্যে উন্নত দেশ আছে। উন্নয়নশীল আছে। আবার নিম্ন মধ্যম উন্নত দেশও আছে। সব দেশ যদি ঐকমত্যের ভিত্তিতে এক হয়ে কাজ করতে পারে, তাহলে এশিয়া অঞ্চল বিশ্বব্যাপী আয়ত্ত করে চলতে পারবে। আর আমরা যে এটা করতে পারবো, সে সম্ভাবনাও আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, মানবতা আর শুভ শক্তির জয় হবেই। বিশ্ব আজ অনেক প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে, এই উদীয়মান এশিয়ার দিকে। উদ্ভাবনে, অনুপ্রেরণায় বিশ্বকে শান্তি আর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে এশিয়াকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।

শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলার গল্প সম্মেলনে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এশিয়ার দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্য উদারীকরণের নীতি সমর্থন করে এলেরও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সংরক্ষণমূলক বাণিজ্য নীতির বাধা ক্রমশ বাড়ছে।

বিভিন্ন দেশের ওই সংরক্ষণমূলক বাণিজ্য নীতি বিশ্বে বাণিজ্য যুদ্ধের উসকানি দিচ্ছে।

'অর্থনীতির সহজ কথা হল, শুল্ক যদি বাড়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার কমবে। আমি আশা করব, বহুপক্ষীয় ব্যবস্থার মধ্যে সংরক্ষণমূলক বাণিজ্য নীতির প্রবণতা কমিয়ে আনতে কী করা যায় এবং এক্ষেত্রে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা কীভাবে আরও বাড়ানো যায়- সেই পথনির্দেশ এই ফোরাম থেকে উঠে আসবে।'

এ বিষয়ে নিজের ভাবনার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বিশ্ব নানাভাবে চ্যালেঞ্জ ও সংঘাতের মুখোমুখি। বিশ্বকে আরও উন্মুক্ত করতে, ঐক্যের বন্ধনকে আরও মজবুত করার অঙ্গীকার নিয়ে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।  বিশ্বের সামনে চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের মোকাবেলা করতে হবে যৌথভাবে; ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকারকে রক্ষা করতে হবে। উদ্ভাবনী ধারণা ও পদক্ষেপ নিয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বাড়াতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোতে আরও উদ্ভাবনী অনুশীলনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

'সবার জন্য লাভজনক হয়, সব মানুষের যাতে মঙ্গল হয়- তেমন একটি কৌশল নির্ধারণ করতে হবে  অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে, যা গড়ে উঠবে পারস্পরিক আস্থা ও সম্মান এবং ঐক্যবদ্ধ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চেতনা নিয়ে।'

পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম জাইকার প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান আমাদের স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং তাদের সমর্থন অব্যাহত রয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার পর জাপানই একমাত্র দেশ, যারা বাংলাদেশকে যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিল।

এসময় প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য জাইকা প্রেসিডেন্টকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান আমাদের স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং তাদের সমর্থন অব্যাহত রয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার পর জাপানই একমাত্র দেশ, যারা বাংলাদেশকে যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিল।

 

/কে 

Ads
Ads