ভয়ংকর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে ডাকসু ভিপি নুরু!

- ৩১-মে-২০১৯ ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ
:: উৎপল দাস ::
ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরু, সময়ের আলোচিত সমালোচিত এক নাম। দেশবিরোধী ভয়ংকর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন তিনি। একই সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী শিবিরের মতাদর্শে বিশ্বাসী নুরুল হক নুরু সময় মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করা পাঁয়তারা করছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ইতিমধ্যেই ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র ব্যানারে সারাদেশে সাংগঠনিক সফর করার ঘোষণা দিয়েছেন। এমনকি ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া ও বগুড়াতে সফরও করেছেন। যদিও নুরুর ওপর হামলা হয়েছে বগুড়াতে। তিনি সরাসরি হামলার জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ডাকসু ভিপি নুরু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সমানে থেকে নেতৃত্ব দেয়া, জাতির জনক বঙ্গবনধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে জঙ্গী সংগঠন হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।
যদিও ছাত্রলীগ নুরুর ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি ঘোষণা করেছে এবং ছাত্রলীগের কেউ হামলার ঘটনায় জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে, গত ১৮ মে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়েছিলেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরু এবং তার দুই ঘনিষ্ঠ সহচর রাশেদ এবং ফারুক। রাশেদ এবং ফারুকের বিরুদ্ধে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা সবাই জানে। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা হিসাবেই নাকি তারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ইফতারে গিয়েছিলেন এমন দাবি করেছেন ফারুক। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তারা কেন গিয়েছিলেন তা নিয়ে রয়ে গেছে ধোঁয়াশা।
এমনকি মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ইফতারে কেন শুধুমাত্র নুরু গংদেরই দাওয়াত দেয়া হলো, অন্য ছাত্র সংগঠনের নেতারা কেন দাওয়াত পেলেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মার্কিন দূতাবাসের সেই ইফতারের সময় ড. কামাল হোসেন এবং ড. মঈন খানের সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে আলাপচারিতায় মগ্ন ছিলেন ডাকসু ভিপি নুরু। সেখানে তাদের মধ্যে কোনো পরিকল্পনা হয়েছে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে, সেখানে উপস্থিত একাধিক সাংবাদিক এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রের মাধ্যমে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সেই ইফতার শেষ করার পরই নুরু এবং রাশেদ গংরা আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আগামী দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার এজেন্ডা নিয়েই মাঠে নেমে, ছাত্রলীগ সম্পর্কে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। যেকোনো মুহুর্তে গায়ে পরে ছাত্রলীগের যেকোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনার ছাত্রলীগের ওপরই দোষ চাপানোর অপচেষ্টাতেও তারা লিপ্ত রয়েছে।
এছাড়া, নির্ভরযোগ্য আরেকটি সূত্র ভোরের পাতাকে জানিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের নামে ছাত্রদলকে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়ায় তাদের সঙ্গে গোপনে আঁতাত করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নেতারা। এর আগেও ছাত্রদলের সঙ্গে তাদের কয়েক দফা গোপন বৈঠক হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রচলিত একটি কথা রয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো আন্দোলন দানা বাঁধতে না পারলে সেই আন্দোলন সফল হয় না। তাই অনেকটা সুচারুভাবে অজ্ঞান হওয়ার অভিয়ন করিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি অংশই নুরুকে ভিপি বানিয়েছিল। প্রশাসনের এই অংশটার মদদেই আগামী দিনে নুরু তার ভয়ংকর কিছু নাশকতার পরিকল্পনা করতে পারে। সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য রাষ্ট্রীয় সকল সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকার কথা বলেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, কয়েকদিন পরপর ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরুর মোবাইল ফোন পরিবর্তন করার অভ্যাস রয়েছে। তার ব্যবহৃত গ্রামীণ ফোন নম্বরটি টানা ৪ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তাই এ বিষয়ে তার কোনো মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।