সুদানে সামরিক বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০০

  • ৬-Jun-২০১৯ ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

সুদানের রাজধানী খার্তুমে সেনা সদর দপ্তরের সামনে বিরোধীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ জন। আহত হয়েছে শতাধিক।

এদিকে মঙ্গলবার খার্তুমের পাশে নীল নদ থেকে ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিরোধীদলীয় কর্মীরা। এই ৪০ জন ‘গণতন্ত্রকামী’ বিক্ষোভকারী ছিলেন বলে জানাচ্ছে আন্দোলনকারীদের সমর্থক সেন্ট্রাল কমিটি অব সুদান ডক্টরস (সিসিএসডি)।

গত সোমবার খার্তুমে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান কর্মসূচিতে ওই হামলার পর বুধবার রাতে সিসিএসডি এ খবর জানায়। এর আগে হামলায় ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। নীল নদ থেকে ৪০ জনের লাশ উদ্ধারের ফলে এ ঘটনায় নিহত বিক্ষোভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১০০ জনে।

দারিদ্র্যপীড়িত সুদানে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকেই রুটি ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে দেশটির রাষ্ট্রপতি বশির আল-ওমরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের হটাতে নিরাপত্তা বাহিনীর বলপ্রয়োগের কারণে এই বিক্ষোভ উল্টো তার পতনের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনে রূপ নেয়।

গত ৬ এপ্রিল থেকে খার্তুমে সামরিক বাহিনীর সদর দফতরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছিলেন বিক্ষোভকারীরা। এসব ঘটনার জেরে ১১ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট বশিরের পদত্যাগ ঘোষণা করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এতে আনন্দে মেতে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। তবে সে আনন্দ ছিল কিছু মুহূর্তের মাত্র। কারণ বশিরের পদত্যাগের পর ক্ষমতা নেয় দেশটির সামরিক বাহিনী। পরে সামরিক বাহিনীকে বশিরেরই অংশ হিসেবে দাবি করে ফের বিক্ষোভ করতে থাকে আন্দোলনকারীরা।

১৯৮৯ সালে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থাকাকালে বশির আল-ওমর ‘অভ্যুত্থান’ ঘটিয়ে তৎকালীন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সাদিক আল-মাহদীকে উৎখাত করেন। পরে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেন তিনি। কয়েকবছর ধরে তার বিরুদ্ধে ‘সামরিক অভ্যুত্থান’ চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সেসব উতরে ৩০ বছর ধরে দারিদ্র্যপীড়িত দেশটির ক্ষমতায় আসীন ছিলেন তিনি।

Ads
Ads