পুলিশের লাঠিচার্জের সাথে ২ শতাধিক চাকরিপ্রার্থীর কপাল পুড়ল!

- ২১-Jun-২০১৯ ০৮:২০ পূর্বাহ্ণ
:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::
বরিশালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে যথাসময়ে উপস্থিত না হওয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্রে দুই শতাধিক চাকরিপ্রার্থীকে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ।
এ ঘটনার প্রতিবাদে পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২১ জুন) সকাল ১০টার দিকে সরকারি বরিশাল কলেজকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় কেন্দ্রে প্রবেশের দাবীতে তারা বিক্ষোভ করেন এবং ফটক ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করেন। পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে বলে অভিযোগ করেছেন বঞ্চিত পরীক্ষার্থীরা। তবে নির্দিষ্ট সময়ে না আসায় তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর ৩২কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। প্রবেশ পত্রের শর্ত অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করার কথা। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে সরকারী বরিশাল কলেজ কেন্দ্রে ২ শতাধিক পরীক্ষার্থী ১০টার দিকে কেন্দ্রের সামনে উপস্থিত হয়। এ সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তারা নির্ধারিত সময়ের পরে আসার তাদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়নি। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা। এক পর্যায়ে তারা সরকারী বরিশাল কলেজ কেন্দ্রের প্রধান ফটক ঠেলে কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে। পরে পুলিশ তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়।
পরীক্ষার্থী জেসমিন আক্তার ও তমার অভিযোগ, নির্ধারিত সময়ের পর আসায় এক নারী প্রাথীকে কেন্দ্রে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হলেও ২ শতাধিক পরীক্ষার্থীর সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করে প্রশাসন। তাদের হলে ঢুকতে না দিয়ে উল্টো পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিপেটা করার অভিযোগ করেন তারা।
হাফিজা, উর্মি ও রিয়াজ শরীফ নামে ৩ পরীক্ষার্থী জানান, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও পরীক্ষা শুরুর অর্ধঘণ্টা আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হন তারা। কিন্তু কর্মকর্তারা তাদের হলে প্রবেশ করতে দেয়নি। এতে তাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। তাদের জীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ কারণে শুধু সরকারী বরিশাল কলেজ কেন্দ্রে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণ এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেন বঞ্চিত পরীক্ষার্থীরা।
তবে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা লাঠিচার্জ করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে হলে প্রবেশের নিয়ম রয়েছে। কিছু পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের পর এসে হলে প্রবেশ করতে চাইলে কর্তব্যরত কর্মকর্তারা তাদের হলে ঢুকতে দেয়নি। এ নিয়ে তারা উত্তেজিত হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বলে তিনি জানান।
বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় ২শ’ শূন্য পদের বিপরীতে নগরীর ৩২টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬২ হাজার। এর মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলার মাত্র একটি শূন্য পদের বিপরীতে পরীক্ষার্থী ১৫ হাজার।
আজ এবং আগামী ২৮ জুন দুইধাপে পরীক্ষা তাদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে।
/কে