ঘাতক হারুনের ৬ মাসের মধ্যে ফাঁসি চান সামিয়ার বাবা

  • ৭-Jul-২০১৯ ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ
Ads

 

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

রাজধানীর ওয়ারীর বনগ্রামে শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৭) ধর্ষণ ও হত্যার মূল আসামি হারুন অর রশিদের ৬ মাসের মধ্যে ফাঁসি দাবি করেছেন সামিয়ার বাবা আব্দুস সালাম।

দেশ জুড়ে আলোড়ন তোলা এই ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন হারুন অর রশিদ গ্রেপ্তার হয়েছেন আজ রবিবার। আর তার বিষয়ে জানাতে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে।

সেখানে ছিলেন ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা। আর হারুনকে দেখে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আর সামলাতে পারেননি আবেগ। কেঁদে ফেলেন।

সংবাদ সম্মেলন শেষে সামিয়ার বাবা সাংবাদিকদের বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে মূল আসামিকে চিহ্নিত করতে পেরেছে পুলিশ। তাকে ধরতে পেরেছে। আমি চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে, তিন মাস থেকে ছয় মাসের মধ্যে তাকে প্রকৃত শাস্তি দেওয়া হোক। সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক। সে যেহেতু আমার মেয়েকে দুই রকম নির্যাতন করে হত্যা করেছে, তাকে ছয় মাসের মধ্যে ফাঁসি দেওয়া হোক। আমি আমার মেয়েকে রক্ষা করতে পারিনি। আমার স্ত্রী আমাকে জানালো, মেয়ে তাকে বলে ১০ মিনিটের জন্য আমি আটতলার বাচ্চাটার সঙ্গে খেলে এসে আম্মু আমি তোমাকে পড়াগুলো দেবো।’ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে গেলো। আমি নামাজ পড়ে এসে আর মেয়েকে পেলাম না।

তিনি বলেন, আমি দেশবাসীকে একটি কথা বলতে চাই, যাদের মেয়ে বাচ্চা আছে, তারা আগলে রাখবেন। এক মুহূর্তের জন্য আড়াল হতে দেবেন না। এইসব নরপিশাচদের হাত থেকে খেয়াল রাখবেন।

গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ওয়ারীর বনগ্রামের একটি বহুতল ভবনের ৯ তলার খালি ফ্ল্যাটের রান্নাঘরের মেঝে থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মেঝেতে গলায় দড়ি দিয়ে বাঁধা এবং মুখ রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন তার স্বজনরা।

শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ময়নাতদন্তে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যার আলামত মেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ।

শনিবার সকালে শিশুটির বাবা মামলা করেন ওয়ারী থানায়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীসহ ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। আর রবিবার কুমিল্লা থেকে ধরা হয় প্রধান সন্দেজভাজন হারুন অর রশিদকে।

Ads
Ads