২৭ বছর পর ফাইনালে ইংল্যান্ড

- ১১-Jul-২০১৯ ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
:: স্পোর্টস ডেস্ক ::
গুনে গুনে ২৭ বছর। ঠিকই পড়ছেন, ১৯৯২ সালের পর ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল দলকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছলো ইংলিশরা। এর আগে আরও তিনবার ফাইনাল খেললেও শিরোপা জেতা হয়নি তাদের। এবার কি পারবে ইংল্যান্ড? সে উত্তর পাওয়া যাবে ১৪ জুলাই।
তবে দিনের শুরুটা হয় টস হেরে। বোলিংয়ে এসেও দুর্দান্ত শুরু করে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের বোলারদের চাপে অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে নেমে ২২৩ রানের বেশি করতে পারেনি। ২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মরগান বাহিনীকে বেগ পেতে হয়নি। ৩২.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।
শুরুতে টস জিতে অজিদের ব্যাট করা দেখে মনে হচ্ছিল এখানে দুশ’রান করাই অনেক কঠিন। কিন্তু উল্টো ঘটনা ঘটল ইংল্যান্ড যখন ব্যাট করতে আসলো। অজি পেসাররা ইংলিশ ব্যাটারদের কোন পরীক্ষাই নিতে পারেননি। অনায়াসেই খেলে যাচ্ছেন তারা। তাদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছে ব্যাটিং স্বর্গ এটা। অস্ট্রেলিয়া যেখান প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭ রান করছিলেন। সেখানে ইংল্যান্ড প্রথম ১০ ওভারেই কোন উইকে না হারিয়ে তুললেন ৫০ রান।
১২৪ রানের পর প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এলবিউব্লিউ’র ফাঁদে ফেলে জনি বেয়ারেস্টোকে সাজঘরে ফেরান মিচেল স্টার্ক। জেসন রয়কে আম্পায়ার দেন বিতর্কিত এক সিদ্ধান্ত। তার এ বিতর্কিত সিদ্ধান্তে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন ইংলিশ এ ওপেনার। জো রুট ৪৯ রানে ও ইয়ান মরগান ৪৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ১৪ রানেই হারায় টপ অর্ডার। এদিন ব্যার্থ ছিলো অজিদের ক্ষুদধার টপ অর্ডার। ৪৯ ওভারে সব ক’টি উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান সংগ্রহ করেন অজিরা। ইংল্যান্ডকে ফাইনাল খেলতে হলে করতে হবে ২২৪ রান।
টপ অর্ডারের ব্যর্থ হওয়ার দিনে স্মিথ ছাড়া কেউ তেমন কিছু করে দেখাতে পারেনি। তবে স্মিথকে সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করেছেন ক্যারি-ম্যাক্সওয়েল-স্টার্করা। তারাও সেট হয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন।
দলের এমন চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে উইকেটে নেমেই জফরার বাউন্সারের শিকার হন অ্যালেক্স কেরি। ৭.৬ ওভারে দলীয় ১৪/৩ এবং ব্যক্তিগত ৪ রানে জোফরা আর্চারের বাউন্সার সরাসরি কেরির হেলমেটে আঘাত হানে। চোট নিয়েই অনবদ্য ব্যাটিং চালিয়ে যান কেরি।
চতুর্থ উইকেটে স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে ১০৩ রানের জুটি গড়েন কেরি। অনবদ্য ব্যাটিং করে ফিফটির পথেই ছিলেন তিনি। আদিল রশিদের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ তুলে দেন। তার আগে ৭০ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৪৬ রান করেন কেরি।
এরপর ক্রিজে এসে ম্যাক্সওয়েল করেছেন ২২ রান ও মিচেল স্টার্ক করেছেন ২৬ রান। এছাড়া আর কেউই স্মিথকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ২১৭ রানে স্টিভেন স্মিথ রান আউটের ফাঁদে পড়লে মাত্র ৬ রান যোগ করেই থামে অজিদের ইনিংস। আউট হওয়ার আগে স্মিথ ১১৯ বলে ৮৫ রান সংগ্রহ করেন।