পুত্র রাজীবের কুকর্মে ম্লান এমপি নাজিমউদ্দীনের সকল অর্জন

- ১২-Jul-২০১৯ ০১:৩৪ অপরাহ্ন
:: উৎপল দাস ::
ময়মনসিংহ ৩ (গৌরীপুর) আসনের এক সময়ের পরিক্ষীত, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের রাজনীতির হালধরা এবং দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ায় উপ-নির্বাচনের পর একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও নৌকার মনোনয়ন পেয়ে এমপি হয়েছেন নাজিম উদ্দিন আহমেদ। দুই ধাপে ক্ষমতায় থাকার পরও শুধু নিজ ছেলে তানজির আহমেদ রাজিবের নানা অপকর্মে নাজিম উদ্দীনের সকল অতীত রাজনৈতিক অহংকার ও ঐতিহাসিক অর্জন কলঙ্কে রুপ নিচ্ছে।
গৌরীপুরের স্থানীয় বাসিন্দা ও তৃণমূল আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে ভোরের পাতা নিশ্চিত হয়েছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, এম পি সাহেব বছরে এলাকায় আসেন দু -একদিন। এই সুযোগে তার ছেলে রাজিব নিজেকে এলাকায় এমপি ভাবেন। কারণ এমপি সাহেব বয়সে বৃদ্ধ হওয়ায় তার ছেলে রাজিবই প্রাশাসন থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের উপর অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছেন। কেননা এম পি নাজিম উদ্দিন ঢাকা ও ময়মনসিংহ জেলা সদরেই বেশি থাকেন। এলাকাবাসীর কোন সমস্যা সমাধানের জন্য এমপি সাহেবকে খুঁজেই পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেছেন গৌরীপুরবাসীরা।
একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এমপি পুত্র রাজিব নিজেই মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গভীর সখ্যতা রয়েছে। যার ফলে গৌরীপুর এখন মাদকাসক্তদের জন্য অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে, এমনকি আশেপাশের উপজেলা থেকেও গেরীপুরে এসে নিরাপদে এমপি পুত্রের আশ্রয়ে মাদকসেবীরা বুক ফুলিয়ে মাদক গ্রহণ করে।
গৌরীপুরের একাধিক সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, এক এমপি পুত্র রাজিবের কারণেই এলাকার কিশোর, যুবক ও যুবতী মাদকের কড়াল গ্রাসে নিমজ্জিত। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় সুদৃষ্টি কামনা করেন গৌরীপুরবাসী। কারণ গৌরীপুরের প্রায় প্রতিটি পরিবারেই মাদকাসক্তদের কারণে সামাজিক শ্রদ্ধাবোধ আজ ধ্বংসের মুখে।
উল্লেখ্য দুই ধাপে এমপি নাজিম উদ্দিন প্রায় ৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও সারাদেশে যে তুলনায় উন্নয়ন হয়েছে সে তুলনায় গৌরীপুর বাসী তেমন কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন চোখেই দেখে নি। এমনকি এক দশকের ও বেশি সময় ধরে গোরীপুর স্টেডিয়ামটির কোন সংস্কার বা উন্নয়ন হয় নি উল্টো স্টেডিয়াম এর আশেপাশে মাদকের আখড়া গড়ে উঠেছে আর এই মদক আখড়ার প্রধান পৃষ্ঠপোষক এমপি পুত্র রাজিব হওয়ায় প্রশাসন ও কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে।
এমনকি গৌরীপুরবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়া গ্যাস সংযোগ দেয়ার প্রতিশ্রুতিও রক্ষা করতে পারেননি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে এমপিপুত্র মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষক তানজীর আহমেদ রাজিবকে ফোন করা হলেও তার ব্যক্তিগত ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে।