ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট উইলিয়ামসন

- ১৪-Jul-২০১৯ ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
:: স্পোর্টস ডেস্ক ::
ব্যাট হাতে ৬০৬ রান এবং বল হাতে ১১ উইকেট শিকারের মতো অবিশ্বাস্য পারফরমেন্সের পরও, সাকিব আল হাসান পেলেন না বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি।
সেই পুরস্কারটি জিতেছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ব্যাট হাতে ৫৭৮ রান করেছেন তিনি। বলতে গেলে এক হাতে দলকে টেনে নিয়ে গেছেন ফাইনাল পর্যন্ত। তাই নির্বাচকদের দৃষ্টিতেই তিনিই টুর্নামেন্ট সেরা।
ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টের দৌড়ে সাকিব আর উইলিয়ামসন ছাড়াও ছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বাধিক রান করা ভারতের রোহিত শর্মা আর অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার। তবে তারা দুজনই ব্যর্থ হয়েছেন সেমিফাইনালে।
সুপার ওভারের রোমাঞ্চে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুললো ইংল্যান্ড। চরম নাটকীয়তায় ভরা এই ম্যাচটি টাই হলে পরে সুপার ওভারে গড়ায়। সেখানেও টাই হওয়ায় দু’দলের বাউন্ডারি হিসেব করে ট্রফির উদযাপনে মাতে ইংলিশরা।
মূল ম্যাচের নির্ধারিত ৫০ ওভার করে খেলেছে দুই দল। যেখানে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। এ রান তাড়া করতে নেমে নিজেদের ইনিংসে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ঠিক ২৪১ রানই করতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড।
ফলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টাই হয় ফাইনাল ম্যাচ এবং শিরোপা নির্ধারণের জন্য ম্যাচ নেয়া হয় সুপার ওভারে। কিন্তু সেখানেও হয়নি নিষ্পত্তি। কারণ দুই দলই নিজেদের ৬ বলে করতে পারে সমান ১৫ রান করে।
তবু নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ষষ্ঠ বলে মার্টিন গাপটিলকে রানআউট করেই উল্লাসে মেতে ওঠে ইংল্যান্ড। কারণ তাদের জানা ছিলো সুপার ওভারেও টাই হলে শিরোপা উঠবে তাদেরই ঘরে।
সুপার ওভারের নিয়ম অনুযায়ী, যদি এ ৬ বলেও ম্যাচের ফলাফল না হয়, তা হলে যে দল বেশি বাউন্ডারি মেরেছে, সেই দলকেই জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়। দু’দলের মারা বাউন্ডারির সংখ্যা দিয়েও যদি ম্যাচের নিষ্পত্তি না হয়, সে ক্ষেত্রে কী হবে? তখন দেখা হবে সুপার ওভারের শেষ বলে কোন দল কত রান করেছে। যে দল বেশি রান করেছে, নিয়ম অনুযায়ী সেই দলই জিতবে।
ফলে মূল ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোয় প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। ম্যাচে আগে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড ১৪টি চার ও ২টি ছক্কায় মোট বাউন্ডারি পায় ১৬টি। অন্যদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২টি চারের সঙ্গে ২টি ছয় মারে ইংল্যান্ড। যে কারণে সুপার ওভারের নিয়মানুযায়ী চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।