সব সরকারি সেবামূলক অফিস দালালমুক্ত করা হবে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

  • ১৮-Jul-২০১৯ ০৮:০২ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

জেলা পাসপোর্ট অফিস, উপজেলা এসিল্যান্ড অফিসসহ যেসব দফতরে জনগণ সরাসরি সেবা পেয়ে থাকেন, সেই অফিসগুলোকে দালালমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এ বিষয়ে ডিসিদের নির্দেশও দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকেরা আরো বিভিন্ন ধরনের ২৬টি প্রশ্ন করেছেন। তারা যে গাড়ি ব্যবহার করেন সেই গাড়ির তেলের সিলিং আরেকটু উপরে উঠানো যায় কিনা-সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।

জেলা-উপজেলা কার্যালয়ে জনভোগান্তি লাঘবে দৃশ্যমান অগ্রগতি কিছু চেয়েছেন কিনা- এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই। আমরা অগ্রগতি দেখতে চেয়েছি। আমরা বলেছি যেখানে অনিয়ম আছে সেগুলো আগে শনাক্ত করার প্রয়োজন। আমরা জানি কিছু কিছু জায়গা আছে, যেমন এসিল্যান্ড অফিস। আমি বলেছি এসিল্যান্ড অফিসে নাম খারিজের বিষয়গুলো আরো কীভাবে দ্রুততার সঙ্গে করতে পারি এবং সেখানে ডিজিটালাইজেশনের ব্যাপারটা আরো কীভাবে দ্রুত করতে পারি সে ব্যাপারে তারা নজর দেবে।

তিনি আরও বলেন, যদি কোনো কর্মকর্তা অনিয়ম বা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকে তাদের ডেকে প্রথমে সংশোধনের জন্য বলা হবে, আর যদি না হয় তাহলে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনমুখী জনপ্রশাসন করার জন্য সেবার ধরণ আরো পরিবর্তন করে জনগণের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারি। ডিসিদের বলেছি-আমরা প্রতি বুধবার যে সাপ্তাহিক গণশুনানি করি, যার সে সমস্যা সেগুলো শুনে তাৎক্ষণিক সমাধান দেবার চেষ্টা করতে হবে। সেগুলো আরো কীভাবে সুন্দর ও চমৎকারভাবে করতে পারি তাও দেখতে হবে। আমরা বলেছি, প্রতিনিয়ত কোনো কর্মকর্তার যদি কোনো ত্রুটি থাকে সেগুলো মাঝে মাঝে বসে জেলা প্রশাসনে ডেকে নিয়ে সংশোধন কীভাবে করে দেওয়া যায়- তা দেখতে। তাদের ওরিয়েন্টেশন, প্রশিক্ষণ কীভাবে আরো বাড়ানো যায়- তাও দেখা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকেও তাদের জন্য কিছু প্রস্তাবনা ছিল’ জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা চেয়েছি যে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনী ইশতেহার, যে আমরা দুর্নীতিমুক্ত জনপ্রশাসন গড়ে তুলবো। জনকল্যাণমুখী জনপ্রশাসন আমরা গড়ে তুলবো। সে ক্ষেত্রে জনমুখী জনপ্রশাসন সেটির কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু করেছি। এই দশ বছর এই সরকার জনপ্রশাসনকে বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে জনগণের খুব কাছাকাছি নিয়ে গেছে। আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, জেলা সদরের যে হাসপাতাল আছে সেগুলো যাতে দালাল, দুর্নীতি ও অনিয়ম মুক্ত করতে পারি- এজন্য জেলা প্রশাসক দেখবেন। পাসপোর্ট অফিসে যারা দালাল আছে বা এখানে ভোগান্তিগুলো হয়, সেখানে তারা আরো নজরদারি বাড়াবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিসিদের অফিসগুলো সুন্দর করে সাজিয়েছি, তাদের লজিস্টিক সাপোর্ট ইতোমধ্যে দিয়েছি, আরো কিছু দিচ্ছি। সার্কিট হাউজগুলো সুন্দর করে করেছি, যাতে ভিআইপি যারা যান তারা ভালোমতো থাকতে পারেন। কারণ, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড অনেক বেড়ে গেছে, যার ফলে আমাদের মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড অনেক বেশি। অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়।

তিনি আরও বলেন, অফিসগুলোকে যাতে আমরা ফুলফেজে ডিজিটালাইজেশন করতে পারি সে বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি। আমাদের আরো বেশি ডিজিটালাইজেশন করতে হবে। সেক্ষেত্রে যে কর্মকর্তা রয়েছেন তাদের প্রশিক্ষণের ব্যাপক ব্যবস্থা করতে হবে। প্রত্যেক জেলায় বালক ও বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো তারা যাতে আরো বেশি গুরুত্ব দেয়, আরো নজরদারি করে এবং লেখাপড়ার মানোন্নত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেজন্য আমরা নির্দেশ দিয়েছি।

একেক জেলার আর্থিক এবং সামাজিক অবস্থা আরেকটি জেলা থেকে ভিন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেলার বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে আরো ভালো ভালো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড জেলা প্রশাসকেরা প্রস্তাব দেবেন এবং এর উপরে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে আরো ভালো প্রকল্প নিতে পারেন।

Ads
Ads