৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর ৫ শতাংশ

- ২৯-Jul-২০১৯ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ
:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::
সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করলে উৎসে কর ৫ শতাংশ কাটা হবে। ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে উৎসে কর কাটা হবে ১০ শতাংশ। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকেই এ হার কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সোমবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস বিফ্রিংয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সঞ্চয়পত্রে সুদের ওপর ১০ শতাংশ ট্যাক্স আরোপের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল বাজেটে। এটিকে শিথিল করা হয়েছে। ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত যারা সঞ্চয়পত্র কিনবেন, তাদের সুদের ওপর ৫ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হবে। আর যারা ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনবেন, তাদের ট্যাক্স দিতে হবে ১০ শতাংশ।
তিনি বলেন, নতুন এই ঘোষণা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এজন্য আলাদা পরিপত্র জারি করা হবে। স্বচ্ছতা আনতেই সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ জানা গেছে, একেক জন ধনী ব্যক্তি ২০-৩০টি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে সঞ্চয়পত্র কিনছেন। এতে কে কত টাকা বিনিয়োগ করছেন বা সঞ্চয়পত্র কিনছেন, সে সম্পর্কে সরকার সব সময় অন্ধকারে থেকে যাচ্ছে। ট্যাক্স আরোপ করার ফলে এই প্রবণতা কমবে এবং অসংলগ্ন লেনদেন হলে দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এতে দুর্নীতিও কমবে। তবে পেনশনারদের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা বহাল থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, পারিবারিক বা অন্য সঞ্চয়পত্র করা হয়েছিল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য। নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বিনিয়োগের কোনও জায়গা নেই। তাদের টাকা বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে সঞ্চয়পত্র চালু করা হয়েছিল। এটি অর্থনীতির জন্য একটি বড় ক্ষেত্র। কিন্তু সরকারের দেওয়া এই সুযোগের অপব্যবহার হচ্ছে। ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বদলে ধনীরা লাভবান হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রের আদলে পৃথক বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ চালুর চিন্তা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে। এটি হলে অর্থ বিনিয়োগের ঝামেলা কমবে।
এছাড়া রেমিট্যান্সের ওপর প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণাও দেন মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘বাজেটে ঘোষণা করেছিলাম রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনাই দেবো। যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করতে সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনও সুযোগ নেই। যেহেতু ঘোষণাটি নতুন, তাই সিস্টেমটি চালু করতে পারিনি এখনও। এটি চালু করতে ২-৩ মাস সময় লাগবে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। কোনও সমস্যা হবে না এ বিষয়ে। ১ জুলাই থেকেই এই ঘোষণা কার্যকর হবে।’ এ নিয়ে আলাদা একটি পরিপত্র জারি করা হবে। এরপরই এটি কার্যকর হবে।