যে কারণে 'কালো তালিকাভুক্ত' হচ্ছে ২৫ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

  • ৫-Aug-২০১৯ ০২:২৬ অপরাহ্ন
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

দেশের ২৫ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কালো তালিকাভুক্ত হচ্ছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদে ভর্তি হওয়া থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করার জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

ঈদের আগেই এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

তিনি বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয় আইন অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে সেখানে যেন শিক্ষার্থীরা ভর্তি না হয় সেজন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে সে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে প্রতারিত না হয় সে জন্য এমন চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে ছাত্রছাত্রীরা বিপদে পড়বে। তাদের সনদ বৈধ হবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিহ্নিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কয়েকটির বিরুদ্ধে অবৈধ ক্যাম্পাস চালানোর অভিযোগ রয়েছে। কোনোটির বিরুদ্ধে আছে অননুমোদিত প্রোগ্রাম চালানোর অভিযোগও। কয়েকটি আবার শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের নির্দেশপ্রাপ্ত। সনদ বাণিজ্যসহ নানা অপরাধে কয়েকটি অভিযুক্ত এবং বন্ধ ঘোষিত। কিন্তু উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে সেগুলো পরিচালিত হচ্ছে। আবার মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের অভিযোগ আছে কয়েকটির বিরুদ্ধে। নানা অভিযোগে বন্ধের সুপারিশপ্রাপ্তও কয়েকটি।

জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন বলেন, এ গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া ইউজিসির রুটিন কাজগুলোর একটি। ঈদের আগেই গণবিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হবে।

কালো তালিকাভুক্ত ২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৯টি নতুন। এগুলো এখনও কার্যক্রম শুরু করেনি। এগুলো হচ্ছে- ঢাকার রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জের রূপায়ন একেএম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়, জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস, রাজশাহীর আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীর শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশালের ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল স্টান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিভার্সিটি।

Ads
Ads