পাওনা টাকা উদ্ধারে গ্রামীণফোন ও রবির লাইসেন্স বাতিল হচ্ছে!

  • ৯-Aug-২০১৯ ০১:৩৬ অপরাহ্ন
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

নানাভাবে উদ্যোগ নিয়েও মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির কাছ থেকে পাওনা টাকা উদ্ধার করতে পারছে না নিয়ন্ত্রক সংস্থা—বিটিআরসি। প্রথমে ব্যান্ডউইথের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। পরে সেটা তুলে এনওসি বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এখনো সেই সিদ্ধান্ত বহাল। কিন্তু তার পরও তারা টাকা দিচ্ছে না।

এবার তাদের লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এজন্য তাদের শোকজ করতে চায়। 

নিরীক্ষা দাবি পরিশোধ না করে লাইসেন্সের শর্ত ভাঙায় কেন তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে না, ৩০ দিনের মধ্যে সেই জবাব দিতে হবে।

চলতি বছর গ্রামীণফোনের কাছ থেকে নিরীক্ষা দাবি হিসেবে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ এবং রবির কাছ থেকে ৮৬৭ কোটি টাকা দাবি করছে বিটিআরসি।

রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত সুপারিশ পাঠিয়েছে বিটিআরসি এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে সরকারের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।

টেলিকম আইন অনুসারে, কোনো লাইসেন্স বাতিল কিংবা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করতে আগে সরকারের কাছে থেকে সায় পেতে হবে বিটিআরসি'র।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, তারা বিটিআরসি'র সুপারিশ পেয়েছেন এবং এ বিষয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত আইন ও বিধান পর্যালোচনা করে দেখব আমরা। এরপর আমাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে এগোব। এটা খুবই কঠিন একটা সিদ্ধান্ত হবে। কাজেই তাড়াহুড়া করে কিছু করা হবে না।

‘নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে এই সুপারিশ পাঠানোর অধিকার বিটিআরসির রয়েছে। তারা সেটা করেছে। এখন আমরা এ সম্পর্কিত সব ইস্যু বিবেচনা করে দেখব। পরে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

গত ২৪ জুলাই বিটিআরসির সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে এ ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিশন বৈঠকের ২৮ নম্বর সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ‘অডিটের মাধ্যমে শনাক্ত করা গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা এবং রবির কাছে পাওনা ৮৬৭ কোটি টাকা তারা পরিশোধ না করে টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১ এর লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করেছে। ফলে একই আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী কেন তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে না—তা ৩০ দিনের মধ্যে জানানোর জন্য শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আইনের বিধান অনুসারে এ বিষয়ে সরকারের পূর্বানুমতির সিদ্ধান্তের জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করা হলো।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিটিআরসি থেকে সরকারের অনুমোদনের জন্য ইতিমধ্যে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হলেই তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে বিটিআরসি। তবে মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ঈদের পরে সিদ্ধান্ত আসবে।

 

/কে

Ads
Ads