কোরবানির প্রথম দিনের শতভাগ বর্জ্য অপসারিত: মেয়র খোকন

- ১৩-Aug-২০১৯ ১২:২৭ অপরাহ্ন
:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঈদুল আজহার প্রথম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১৬ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে নগরীকে প্রায় শতভাগ কোরবানির পশুর বর্জ্য মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এরমধ্যে ঈদুল আজহার প্রথম দিন অর্থাৎ সোমবার বিকাল ৩টা থেকে আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সময়কালের মধ্যে ১৭টি পশুর হাটের বর্জ্যসহ কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য মিলিয়ে প্রায় ১৬ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকালে নগর ভবনে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র খোকন এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, আপনারা জানেন পুরান ঢাকাবাসী ঈদুল আজহার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিনেও পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। তাই এই দুদিনে আরও পাঁচ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে - যা ডিএসসিসি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপসারণ করবে।
২০১৮ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কোরবানির পশুর হাটের সংখ্যা ছিল ১৪টি। ঈদুল আজহার তিন দিনে করপোরেশনে মোট ১৯ হাজার ২০০ টন বর্জ্য অপসারণ করেছিল। এবছর হাট বেড়েছে তিনটি। তাই বর্জ্যের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। চলতি বছর কোরবানির বর্জ্য অপসারণের পরিমাণ ২১ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্জ্য অপসারণে ডিএসসিসিকে সহযোগিতার জন্য নাগরিক সমাজকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান মেয়র সাঈদ খোকন। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, কর্মচারীদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি।
খোকন বলেন, তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং নাগরিকদের সহযোগিতার ফলেই নগরীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত করার এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি ডিএসসিসি আওতাধীন এলাকার নাগরিকদের কোরবানির বর্জ অপসারণ সেবা পেতে ০৯৬১১০০০৯৯৯ এ হটলাইন নম্বরে ফোন করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নগরীর বর্জ্য অপসারণ কাজে নিয়মিত এবং অতিরিক্ত মিলে মোট নয় হাজার ৫০০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী, ১৫২টি খোলা ট্রাক, ৮২টি কন্টেইনার বক্স, ৬৯টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ৮০টি ডাম্পি ট্রাক, ২৯টি পানির গাড়ি, ২৩টি পে লোডার, ১২টি টায়ার ডোজারসহ নানা ধরনের যান ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়া নাগরিকদের জন্য করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বর্জ্যব্যাগ সরবরাহ, পরিবেশ দূষণরোধে কোরবানির স্থানটি ভালোভাবে ধুয়ে দেয়ার জন্য ১৮০০ লিটার স্যাভলন, পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করেছে। গত বছরের তুলনায় এবছর নাগরিকরা বেশি পরিমাণ করপোরেশনের দেয়া বর্জ্য ব্যাগ ব্যবহার করেছে বলে জানান মেয়র।
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে বিশিষ্ট কলামিস্ট ও লেখক সৈয়দ আবুল মুকসুদ, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডোর জাহিদ হোসেনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।