জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রথমবারের মতো জাতীয় শোক দিবস পালন

  • ১৬-Aug-২০১৯ ০১:০৩ অপরাহ্ন
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের আয়োজনে নিউ ইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দফতরে প্রথমবারের মতো যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ খবর জানানো হয়।

তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, স্থায়ী মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মাধ্যমে জাতির পিতার ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালনের কর্মসূচি শুরু করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ এবং ১৫ আগস্টে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন স্বাগত ভাষণ দেন। রাষ্ট্রদূত জনগণের ক্ষমতায়ন, মানবাধিকারের সুরক্ষা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি, গণতন্ত্র, শান্তি ও সহাবস্থানের জাতির পিতা যে আদর্শ রেখে গেছেন তা তুলে ধরেন।

জাতিসংঘ সদর দফতরে প্রথমবারের মতো জাতির পিতার শাহাদত বার্ষিকীর এ অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ আগামী বছর বিশ্বব্যাপী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে জাতিসংঘ সদর দফতরে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি ২০২১ সালে উদযাপন করা হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। এসকল অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান স্থায়ী প্রতিনিধি।

আলোচনা অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু ও বহুপাক্ষিকতাবাদ’ বিষয়ে কী-নোট স্পিচ প্রদান করেন জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি আনোয়ারুল করিম চৌধুরী।

ভারত, সার্বিয়া ও কিউবার স্থায়ী প্রতিনিধি এবং প্যালেস্টাইনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রবাসী বাঙালি সম্প্রদায়ের পক্ষে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান।

বক্তারা বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা এবং বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত ও বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বক্তারা বলেন, বিশ্বের বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতার সংগ্রাম ও ত্যাগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবে।

অনুষ্ঠানে জাতির পিতার জীবন ও কর্ম এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা তুলে ধরে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাস, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস, জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস, তাসখন্দে বাংলাদেশ দূতাবাস, ফিলিপাইনে বাংলাদেশ দূতাবাস, রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসসহ বিদেশের বিভিন্ন বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।

Ads
Ads