এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির ঘটনায় তাসভীর গ্রেপ্তার

  • ১৮-Aug-২০১৯ ০১:৩৭ অপরাহ্ন
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

রাজধানীর বনানীতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের মামলায় কাসেম ড্রাইসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাসভীর-উল-ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাসভীর এফ আর টাওয়ারের পরিচালনা কমিটির সভাপতি।

রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারে নেতৃত্ব দেন দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চলতি বছরের ২৮ মার্চ এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ২৭ জন মারা যান। তাঁদের মধ্যে কেউ ভবন থেকে পড়ে আবার কেউ আগুনে পুড়ে মারা যান।

নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ভবনটিতে কয়েকটি তলা বাড়ানোর অভিযোগে গত ২৫ জুন তাসভীরসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছিলেন দুদক কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দিক।

দুদকের করা এক মামলায় রাজউকের ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারকে ১৯ তলা থেকে বাড়িয়ে ২৩ তলা করা, উপরের ফ্লোরগুলো বন্ধক দেওয়া ও বিক্রি করার অভিযোগে ২০ জনকে আসামি করা হয়।

এই মামলার আসামির তালিকায় তাসভীর ছাড়াও এফআর টাওয়ারের মালিক এস এম এইচ আই ফারুক, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলের নাম রয়েছে। তাসভীরের কোম্পানি ওই ভবনের ২১, ২২ ও ২৩ তলার মালিক।

প্রণব ভট্টাচার্য বলেন, ব্যবসায়ী তাসভীর উল ইসলাম এফ আর টাওয়ারের ২১, ২২ ও ২৩তম তলা বন্ধক রেখে আর্থিক প্রতিষ্ঠান জিএসপি ফিন্যান্স থেকে ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

তাসভীর উল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিরও সভাপতি। ওই টাওয়ারের ২১, ২২ ও ২৩ তম তলার মালিকানা রয়েছে প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের হাতে। এই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাসভীর।

সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভবনটির ভূমিমালিক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ও রূপায়ণ গ্রুপ যৌথভাবে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। তখন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন দেয়। পরে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর ভবনটিকে ২৩ তলা পর্যন্ত বর্ধিত করে নির্মাণ করা হয়।

ডেভেলপার কোম্পানি রূপায়ণ ভবনটির ২০ ও ২১তম তলাটি জাতীয় পার্টির প্রয়াত সাবেক সাংসদ মাইদুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে। মাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ফ্লোর দুটি কিনে নেন কাশেম ড্রাইসেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএনপি নেতা তাসভীর উল ইসলাম। এরপর তিনি নকশা পরিবর্তন করে ছাদের ওপর আর দুটি তলা নির্মাণ করেন।

Ads
Ads