'দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত না করায় ধর্ষণ বাড়ছে'

  • ২০-Aug-২০১৯ ০৬:৩১ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

দ্রুততম সময়ে ধর্ষকদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় ধর্ষণের মতো অপরাধ বাড়ছে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলায় দুই আসামির জামিন আবেদন খারিজ করে মঙ্গলবার আদালতের লিখিত আদেশ সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের স্বাক্ষরের পর প্রকাশিত ওই লিখিত আদেশে আদালতের পর্যবেক্ষণের বিষয়গুলো উঠে এসেছে।

আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি দেশে ধর্ষণ বিশেষত শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণ-পরবর্তী হত্যার মতো ঘৃণ্য অপরাধ বেড়েই চলেছে। এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত অপরাধীর দ্রুততম সময়ে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারার দায় মূলত রাষ্ট্রের ওপরেই বর্তায়। এ ক্ষেত্রে বিচার বিভাগও জবাবদিহির ঊর্ধ্বে নয়।’

আদালত তাদের লিখিত আদেশে আরও বলেছেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা হলো যে, ধর্ষণসংক্রান্ত মামলার আসামিরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেপরোয়া ও ধূর্ত প্রকৃতির। এরা ভিকটিম ও তার পরিবারের ওপরে চাপ-প্রভাব বিস্তার, আদালতে সাক্ষ্য দিতে ভয়ভীতি, প্রলোভনসহ বিভিন্ন ধরনের কূটকৌশল অবলম্বন করে। ক্ষেত্রবিশেষে সালিশের নামে যেনতেন সামাজিক বিচার করে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য এবং আদালতে সাক্ষ্য প্রদানে বিরত থাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে থাকে। এমতাবস্থায় ‘সাক্ষী সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের বিকল্প নেই। আমরা প্রত্যাশা করছি, সরকার দ্রুততম সময়ে এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন করবে।’

প্রসঙ্গত ধর্ষণ মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন নামঞ্জুরের পর আসামি মো. রাহেল ওরফে রায়হান এবং মো. সেকান্দার আলী জামিন বিষয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন। কিন্তু আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে পর্যবেক্ষণসহ এ আদেশ দেন।

 

/কে 

Ads
Ads