'দুর্নীতিমুক্ত' না হলে বিআরটিসি লাভের মুখ দেখবে না: কাদের

  • ২৪-Aug-২০১৯ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

'দুর্নীতিমুক্ত' না হলে বিআরটিসি লাভের মুখ দেখবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউটশন মিলনায়তেনে বিআরটিসি শ্রমিক-কর্মচারী লীগের আয়োজনে শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতিমুক্ত না হলে বিআরটিসি লাভের মুখ দেখবে না। লাভের গুঁড় এখানে পিঁপড়ায় খেয়ে ফেলে। যারা ওপরে আছেন, ভাগাভাগি তারাই করেন।

তিনি আরও বলেন, আপনারা সহযোগিতা করলে বিআরটিসিকে লাভবান করা সম্ভব। বিআরটিসি থেকে দুর্নীতি-অনিয়ম বন্ধ করা হবে। এই প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করার যে স্বপ্ন, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে দেখাব।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ার জন্য মিয়ানমারকে দায়ী করে কাদের বলেন, মিয়ানমার সরকার সেখানে (রাখাইন রাজ্য) পরিবেশ সৃষ্টি করেনি, নিরাপত্তা সৃষ্টি করেনি, সিটিজেনশিপের মতো বিষয়টি সুরাহা করতে পারেনি; এজন্য তাদের বিশ্বাস করতে পারেনি রোহিঙ্গারা।  এর দায় মিয়ানমার সরকারকে নিতে হবে।

এখন বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধের পথে যাব না, আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখব। সেই কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। এখানকার সমস্যাটা জটিল। এই জটিলতার মধ্যে যুদ্ধ পরিহার করে ঠাণ্ডা মাথায় আলাপ-আলোচনা করে এর সমাধান করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এই ব্যাপারে আমাদের মনে রাখতে হবে, মিয়ানমারেরও বন্ধু আছে এবং শক্তিশালী বন্ধু আছে।

মিয়ানমারের বন্ধু রাষ্ট্রদের নাম না নিয়ে তিনি বলেন, আজকের পৃথিবীতে ডিপ্লোমেসিটা ইকোনোমিক ডিপ্লোমেসি। এখানে জিও ফিজিক্যাল কন্ডিশনে মিত্রতা সৃষ্টি হয়, ইকোনোমিক কারণে মিত্রতা হয়। সবার একটা অংক আছে, হিসাব আছে। সেই হিসাবে মিয়ানমারের বন্ধুরা কম শক্তিশারী নয়। কাজেই আমাদের কৌশলী হতে এগোতে হচ্ছে।

কূটনৈতিক ব্যর্থতার সমালোচনার জবাবে কাদের বলেন, এখানে ব্যর্থতার কোনো বিষয় নেই। এখানে কৌশলগত বিষয় রয়েছে। অনেক সময় দু’পা এগিয়ে এক পা পিছিয়ে যেতে হয়। এটিকে কূটনীতিক ব্যর্থতা বলা যাবে না। সবকিছু মিলিয়ে জাতিসংঘ, ইউরোপসহ আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে শেখ হাসিনা সরকার যতটা কূটনৈতিক সাফল্য অর্জন করেছে, এটা অন্য কোনো দেশে সম্ভব হয়নি। এজন্য রোহিঙ্গারা আসার পর মিয়ানমার সরকার সবচেয়ে বেশি চাপ অনুভব করছে।”

রোহিঙ্গাদের দীর্ঘমেয়াদে অবস্থানের কারণে কক্সবাজারে পর্যটনসহ সব ক্ষেত্রে ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরেন কাদের।

কক্সবাজারে যুবলীগের এক নেতার রোহিঙ্গাদের হাতে নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সেখানে রোহিঙ্গারা ১১ লক্ষ, আমাদের ৪ লাখ।  রোহিঙ্গাদের মধ্যে সবাই যে নিরীহ-শান্ত, সেটা মনে করার কারণ নেই। তাদের মধ্যে হতাশা আছে, বেপরোয়া মনোভাব আছে। সেটার একটা বিচ্ছিন্ন প্রকাশ ঘটেছে।

Ads
Ads