পদত্যাগের এক সপ্তাহ পর আবারও ইতালির প্রধানমন্ত্রী কন্তে

- ৩০-Aug-২০১৯ ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ
:: সীমানা পেরিয়ে ডেস্ক ::
এক সপ্তাহের মাথায় ফের ইতালিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন গুইসেপ্পে কন্তে। মধ্য বামপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডি) সাধারণ সম্পাদক জিঙ্গারেতি ও ফাইস্টার মুভমেন্ট সাধারণ সম্পাদক লুইজি দি মাইও দল জোট বেঁধে প্রেসিডেন্ট সেরজো মাতারেল্লার কাছে কন্তেকে ফের প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিলে তিনি তা গ্রহণ করেন।
বৃহস্পতিবার কুইরিনাল ভবনে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফের কন্তেকে দায়িত্ব দেয় হয়। ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে একই ব্যক্তি দু’বার প্রধানমন্ত্রী হলেন। এ ঘটনায় ইতালিতে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। সে দেশের নাগরিকরাও এভাবে ভোট ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ঘটনায় সন্তুষ্ট নয়। এ অবস্থায় ইতালির নতুন সরকার ও নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য আগামী নির্বাচন পর্যন্ত টিকে থাকাটাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
চলতি মাসে সরকার সঙ্কটে পরার পর কয়েক সপ্তাহ ধরে এ নিয়ে ইতালির রাজনীতিতে চলছিল কঠিন সমীকরণ। নতুন সরকার নির্বাচিত হওয়ার পর অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো।
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী কন্তের পদত্যাগের পর ইতালিতে সরকার সঙ্কট দেখা দেয়। দেশটির অর্থনীতির স্বার্থে রাষ্ট্রপতি সেরজো মাতারেল্লা নতুন আরেকটি সরকার গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন। যতদ্রুত সম্ভব একদল আরেক দলের সাথে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে জোট বেঁধে উভয়ের সম্মতিতে নতুন সরকার নির্বাচন করতে জোর তাগিদ দেন।
এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট সেরজো মাতারেল্লা দ্রুত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করার তাগিত দেন। অন্যথায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে নতুন করে নির্বাচনে অংশ নেয়ারও আহ্বান জানান। এরপরই নানা শর্ত সাপেক্ষে ডানপন্থী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও ফাইস্টার মুভমেন্ট জোট বেঁধে কন্তেকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করে।
তবে কট্টর অভিবাসী বিরোধী লেগা নর্দ দলের মাত্তেও সালভিনি (সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) পার্লামেন্ট বিরোধী দল হিসেবে থাকছেন বলে জানা গেছে।
সালভিনি এক ভিডিও বার্তায় কন্তেকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করার তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, এভাবে সরকার গঠনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার চুরি করা হয়েছে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জনগণ ভোটের মাধ্যমে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। তিনি বর্তমান সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি এই সরকারকে ব্রাসেলস ও জার্মানির আশীর্বাদ সরকার হিসেবে ইঙ্গিত করেন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কন্তে নতুনভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরপরই নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠনের জন্য জোটের সাথে বসবেন। তিনি বৃহস্পতিবারই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন।