ছাত্রলীগে জয় লেখকের এ্যাকশন শুরু: বহিষ্কারের পথে কিশোরগঞ্জের লিমন-আশরাফ!

- ২২-Sep-২০১৯ ০৪:১৯ অপরাহ্ন
সিনিয়র প্রতিবেদক
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে প্রথমবারের মতো স্বাক্ষর করে প্রেস রিলিজের মাধ্যমেই এ্যাকশন শুরু করেছেন আল নাহিয়ান খান জয় এবং লেখক ভট্টাচার্য। নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের দায়ে মেয়াদোর্ত্তীণ কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি লিমন ঢালী ও সাধারণ সম্পাদক আলীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন শেখ হাসিনার মনোনীত ভারপ্রাপ্ত দুই নেতা জয় ও লেখক।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে না জানিয়েই কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত তিনটি উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা এবং একটি উপজেলায় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করার অপরাধে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য।
রোববার সন্ধ্যায় জয় ও লেখক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এমনকি বিতর্কিত কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি লিমন ঢালী ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলীকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে নিজেদের অবস্থান ব্যাখা করে জবাব দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে, সার্বিকভাবে কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ দুই নেতাকে না জানিয়ে জেলা কমিটির দৃষ্টতাপূর্ণ কাজ এর আগেও করেছিলেন লিমন ঢালী এবং আশরাফ আলী। এছাড়া নানা সময়ে তারা কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপজেলা, কলেজ, পৌরসভা, ইউনিয়ন ওয়ার্ড কমিটিতে একক স্বাক্ষরে কমিটি অনুমোদন করেছেন। লিমন ঢালী এবং আশরাফ আলীর মেয়াদোর্ত্তীণ কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটির এই দুই নেতা বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সন্তান, মাদক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে যে ব্যাক্তি কোনোদিন পড়াশোনাও করেননি, বিবাহিতদের কমিটিতে অর্থের বিনিময়ে ঠাঁই করিয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি লিমন ঢালী ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী উভয়ই বিবাহিত এবং ছাত্রলীগ করার মতো সাংগঠনিক বয়স তাদের নেই।
এ অবস্থায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতা জানিয়েছেন, অভিযোগগুলো প্রমাণ হওয়ার সাথে সাথেই লিমন ঢালী ও আশরাফ আলীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণ হলেই লিমন ও আশরাফ আলীকে সংগঠনকে বহিষ্কার করা হতে পারে। এছাড়া নতুন করে জেলা কমিটির সম্মেলনের তারিখও ঘোষণা করা হতে পারে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার মেয়াদোর্ত্তীণ কমিটির সভাপতি লিমন ঢালীকে ভোরের পাতা থেকে রোববার রাত ৯ টা ২৫ মিনিটে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উল্টো ফোন কেটে দিয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলীর ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।