সাঈদ পলাতক নয়, ছেলের চিকিৎসার জন্যই সিঙ্গাপুরে

  • ২৩-Sep-২০১৯ ০৭:০৯ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: উৎপল দাস ::

চলতি মাসের ৫ তারিখ রাতে মহিলা হকি টিম নিয়ে জুনিয়র এশিয়া কাপে অংশগ্রহণ করতে ঢাকা ছাড়েন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ। সেখানে অবস্থানকালে ১৬ সেপ্টেম্বর হঠাৎ তার ছেলে এ কে এম জহিরুল হক সাদ অসুস্থ হয়ে পরেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে ১৮ তারিখ রাফেল্স হাসপাতালের আইসিও ৮০৭ নং বেডে তাকে ভর্তি করা হয়।

চলমান ক্যাসিনো বিতর্কের অন্যতন আলোচিত নাম এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ।  তার বিরুদ্ধেও অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে একটি মহল প্রচার করলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি এই মুহুর্তে ছেলে সাদের চিকিৎসার জন্যই সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে ভোরের পাতা।

তবে, যুবলীগের একটি অংশ দাবি করেছে, বিএনপি জামায়াতের মূল টার্গেট মতিঝিলের এ কে এম সাঈদ। মতিঝিলে জামায়াত বিএনপির মূল আতংক এ কে এম সাঈদ। বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রাম করে সফল হতে পারেনি সাঈদের কারণেই।

যুবলীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীর দাবি, মতিঝিলের আওয়ামী লীগের মূল শক্তি এই কর্মীবান্ধব এ কে এম মমিনুল সাঈদকে ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ মিডিয়াকে ব্যবহার করতো বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্রকারীরা। বিএনপি জামায়াতের ঘাঁটিকে আওয়ামী লীগের দূর্গ হিসেবে রূপ দিয়েছেন সাঈদ।রাজনীতিক পরিবারের এই সাঈদের জন্ম মতিঝিলেই।

সাঈদের দাদা ১৯২৯ সালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। ন্যাশনাল মেডিকেল এন্ড নিওরো সাইন্স এমবিবিএস এর শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। সে সময় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ঢাকায় আসলে তার সাথে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে একাত্বতা প্রকাশ করেন এবং আন্দোলনে সক্রিয় থাকার দায়ে এমবিবিএস এর শেষ বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ! 

সাঈদের বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭০ সালে বি:বাড়িয়া নবীনগর আঞ্চলিক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।১৯৭৩ সালে বি:বাড়িয়া আঞ্চলিক আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

সাঈদের চাচা এ কে এম মোজাম্মেল হক বি:বাড়িয়া জেলা পরিষদের সদস্য।

সাঈদের ভাই আনোয়ার পারভেজ তার নিজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান।

সাঈদ ১৯৯৬ সালে ৩২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ছিলেন পাশাপাশি বঙ্গভবন স্কুল কেন্দ্র ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

১৯৯৯ সালে মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি।

২০০০ সালে ৩২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের আহবায়ক কমিটির ১নং যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন।

২০০২ সালে ৩ ফেব্রুয়ারী ৩২ নং ওয়ার্ড বর্তমান ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত সভাপতি।

২০১২ সালের ১৪ই জুলাই মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পান। 

এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ ভোরের পাতাকে বলেন, আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান।আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি পলাতক নই,সন্তানের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর আছি। চিকিৎসা শেষেই দেশে ফিরে যাবো।

Ads
Ads