ছাত্রদলের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আদালতের

- ২৩-Sep-২০১৯ ০২:৫২ অপরাহ্ন
:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::
ছাত্রদলের নতুন কমিটির কার্যক্রমে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। একই সঙ্গে সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনকে কারণ দর্শনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সাতদিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিনিয়র চতুর্থ সহকারী জজ নুসরাত সাহারা বিথি এ আদেশ দেন।
সদ্য বিদায়ী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমান উল্লাহর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেওয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র আরও জানায়, এদিন মামলার বাদী ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. ইকবাল হোসেনকে এ মামলায় পক্ষ করার আবেদন করেন। এ সময় বর্তমান কমিটির কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তার জন্য আবেদন করা হয়। তাদের কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেন বাদী।
আদালত ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে এ মামলায় পক্ষ করে তাদের কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। একই সঙ্গে সাতদিনের মধ্যে এ বিষয় জবাব দেয়ার জন্য নোটিশ জারি করেন।
এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কাউন্সিলের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ঢাকার চতুর্থ সহকারী সিনিয়র জজ আদালত। এ দিন ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান কাউন্সিলের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এছাড়া ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সাতদিনের মধ্যে বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির ১০ নেতাকে জবাব দিতে বলা হয়।
মামলার অভিযোগে আমানউল্লাহ বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী ছাত্র সংগঠন কোনো রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে থাকতে পারে না। সে অনুযায়ী ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে বলেছিল ছাত্রদল তাদের অঙ্গ সংগঠন নয়। বিএনপি পঞ্চম কাউন্সিলে তা পাস করেছিল। চলতি বছরের ৩ জুন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদলের কমিটি ভেঙে দেন। ৯ জুন মির্জা ফখরুল নির্বাচন চালানোর জন্য তিনটি কমিটি গঠন করেন। ২২ জুন ছাত্রদলের ১২ জনকে বহিষ্কার করেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।