এবার রাজধানীর ফু-ওয়াং ক্লাব সিলগালা

  • ২৬-Sep-২০১৯ ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

রাজধানীর গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোডের ফু-ওয়াং ক্লাবে গতকাল বুধবার মধ্যরাত থেকে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি অবৈধ মদ ও বিয়ার জব্দ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব)। এরপরই ক্লাবটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ সময় সেখান থেকে তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টায় অভিযানে ক্লাবটিতে মাদকের অনুমোদন ও পরিমাণ যাচাই করতে মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টি জানায় র‌্যাব।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, গতকাল রাতে আমরা ফু-ওয়াং ক্লাবে অভিযান পরিচালনা করেছিলাম এবং সারা রাত ধরে আমরা এই অভিযানটি চালাই। সকাল বেলা সব গণনা শেষ করে আমরা এখানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদক পাই, যা তাদের মজুদ বইতে সঠিকভাবে উল্লেখ নেই।

তিনি বলেন, আমরা ২ হাজার ২শ’র বেশি বিদেশি মদ পাই এবং ১০ হাজারের উপরে বিয়ার পেয়েছি। এখন যে জিনিসটা ইমপোর্টেন্যান্ট, যেকোনো অবৈধ জিনিসের সঙ্গে যদি বৈধ জিনিস থাকে তাহলে পুরো জিনিসটাই কিন্তু অবৈধ হিসেবে গণ্য হয়। একই সঙ্গে একটা ট্রেড লাইসেন্সের বিপরীতে কিন্তু একটা সুনির্দিষ্ট পরিমাপ থাকে যে একটা ট্রেড লাইসেন্সে কি পরিমাণ বিয়ার বা মদ থাকবে। সেই পরিমাপের কোনো মাত্রা এখানে ছিল না এবং অধিক মাত্রায় মদ এবং বিয়ার আমরা পেয়েছি।

ফু-ওয়াং ক্লাব তাদের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে সক্ষম হয়নি উল্লেখ করে সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, এখানে বিদেশি কিছু সিগারেট আছে যেগুলো আমদানি নিষিদ্ধ। এর কোনো বৈধ কাগজপত্র তারা আমাদের দেখাতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, এখানে যে কর্মচারীরা আছেন যাদের মাদক বিক্রি করার জন্য লাইসেন্স থাকার কথা ছিল সেগুলো সঠিকভাবে নেই। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রজু করব।

র‌্যাবের এই পরিচালক বলেন, মামলায় প্রধান আসামি অর্থাৎ এই ক্লাবের যে স্বত্ত্বাধিকার মো. শেখ নুরুল ইসলাম তার ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী আমরা তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করব। তার বিরুদ্ধে আমরা মামলা দায়ের কবর। এবং যে তিনজন কর্মচারী আছেন ম্যানেজার, বার টেন্ডার তাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা দায়ের করছি।

 

/কে 

Ads
Ads