যে প্রশ্ন শুনেই ক্ষেপে গেলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী! পর্ব -০১

  • ২৭-Sep-২০১৯ ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ
Ads

::উৎপল দাস::
বাংলাদেশের প্রথম যুব সংগঠন স্বাধীনতার পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭২ সালের ১১ই নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। সংক্ষেপে যুবলীগ নামে সংগঠনটি বহুল প্রচলিত। এটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব অঙ্গসংগঠন। এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি। ২০১২ সালের ১৪ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেসে চেয়ারম্যান পদে ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ হারুনুর রশিদ নির্বাচিত হন। আজ অবধি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান পদে আসীন আছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। তকে নিয়ে রাজনীতির ভিতরে বাইরে রয়েছে নানা ধরণের রহস্য। যুবলীগে একক আধিপত্য বজায় রাখা ওমর ফারুক চৌধুরী সাথে গত জুলাই মাসের ১০ তারিখ দীর্ঘ ২২ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে টেলিফোনে কথা হয়েছে এ প্রতিবেদকের। চরম আড্ডাবাজ ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে কথোপকথনের চুম্বক অংশ নিয়ে দুই পর্বের আজ থাকছে প্রথম পর্ব। 

কথোপকথনের শুরুতেই একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন এ প্রতিবেদক, যুবলীগের চেয়ারমান ওমর ফারুক চৌধুরীর প্রতি। প্রশ্নটি শুনেই ক্ষেপে যান তিনি। প্রশ্নটি ছিল, ‘আপনার কারণেই যুবলীগের সম্মেলন হচ্ছে না এমন অভিযোগ রয়েছে সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীর। এছাড়া আপনি নাকি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে শর্ত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অথবা প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদটি চেয়েছেন মূল দলে? ঘটনা কি আসলেই সত্য?

এমন প্রশ্ন শুনেই খুব শালীন ভাষা ব্যবহার করে দুটো ইংরেজি শব্দ প্রয়োগ করে তিনি এ প্রতিবেদককে জবাব দিতে শুরু করেন। কথায় কথায় তিনি বলেন, আমি শেখ হাসিনাকে নিয়ে গবেষণা করেছি। তিনি আমাদের রাষ্ট্রনায়ক। তার কাছে আমার কোনো কিছু চাওয়ার নেই। তাকে শর্ত দেয়ার মতো দৃষ্টতাও আমার নেই। আমার কি মাথায় অনেকগুলো ঘাড় আছে নাকি যে শেখ হাসিনাকে শর্ত দিবো। 

টেলিফোনালাপের এক পর্যায়ে ওমর ফারুক চৌধুরী, ২০০৩ সালে বিএনপি-জামায়াতের আমলে নিজ পরিবারের কোনো না কোনো আপনজনের দ্বারা প্রতারিত হওয়ার পর তাকে ঋণ খেলাপিও হতে হয়েছিল বলে জানান। নিজের বয়স ৭০ ছুঁই ছুঁই হলেও নিজেকে পরিপূর্ণ যুবকই ভাবেন তিনি। এরপর নিজ থেকেই অনর্গল কথা বলতে শুরু করেন এবং বলেন, যৌনবকাল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কাল। এই সময়ই মানুষ কিছু সৃষ্টি করতে পারে। আমি এখনো সৃষ্টিতে বিশ্বাস করি; তাই যুবক আছি। 

রাজনীতিতে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে বলতে গিয়ে ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আমি সেলফিবাজির, হাততালি আর চামচামির রাজনীতি পছন্দ করি না। যারা দলে এসব ঢুকিয়েছে ওরা কারা, ওরা কারা (উত্তেজিত হয়ে), তাদের জন্যও পরিণতি ভালো হবে না। 

তবে দীর্ঘ ২২ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের কথপোকথনের শেষ দিকে খুব আন্তরিকভাবে আড্ডাবাজির পরিচয় দিয়ে ওমর ফারুক চৌধুরী এ প্রতিবেদককে সামনা সামনি আড্ডার দাওয়াত দেন। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কিছু বিষয়ে তার কাছ থেকে জানতে এ প্রতিবেদকও আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু দুজনেরেই ব্যস্ততার কারণে সামনা সামনি আড্ডা দেয়া হয়নি। তবে আড্ডা দিয়েই চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভা তৈরির গল্পও শুনিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। 

  
আগামী পর্বে : রাজনীতিবিদদের কাজ হচ্ছে কাইজা লাগানো: ওমর ফারুক চৌধুরী

Ads
Ads