এবার প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সুখবরের প্রত্যাশা ফখরুলের

- ৩-Oct-২০১৯ ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ
:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে প্রতিবার হতাশ হলেও এবার সুখবর পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, আজকে জনগণ আশা করবে, জনগণের যে প্রত্যাশা- তিস্তাসহ সকল অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশ পাবে। অবশ্যই যেন বাংলাদেশ সুখবর পায়, তা আমরা আশা করবো। আমরা আশা করবো আমাদের সীমান্তে যাতে হত্যা বন্ধ হয়।
ফখরুল বলেন, আজকে গেছেন ভারতে প্রধানমন্ত্রী। ভারতের সঙ্গে এই সরকারের নাকি সুউচ্চ সম্পর্ক। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যতবার ভারত যান বারবার আমরা হতাশ হই। যতবার যান আসার পর দেখি আমাদের মূল সমস্যাগুলোর কোনো সমাধান হয় না।
প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরের মাধ্যমে দেশের জনগণ সুখবর চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সীমান্তে হত্যা সমস্যার সমাধান হয় না, তিস্তার পানির সমস্যার সমাধান হয় না, ফারাক্কার বাঁধ খুলে দেয়ায় আমাদের বন্যা হয়ে যায় সেই সমস্যার সমাধান হয় না, বাণিজ্যের মধ্যে যে ভারসাম্যহীনতা আছে তার সমাধান হয় না। জনগণ চায় তিস্তাসহ সব অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশ পাবে। আমরা আশা করবো সীমান্তে যেন হত্যা বন্ধ হয়ে যায়।
আসামের নাগরিকপঞ্জির বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতের মন্ত্রী ও নেতারা যখন বলেন, আসাম থেকে বের করে দেওয়া হবে। তখন আমরা উদ্বিগ্ন হই। উদ্বিগ্ন হই, কারণ- আমাদের কোন মানুষ ভারতে গেছে বলে আমরা মনে করি না। আমরা মনে করি, এটা একটা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের কথা। যা দিয়ে বাংলাদেশের উপর বড় ধরণের একটা চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
আজকে ক্যাসিনো নিয়ে লাফালাফি হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্যাসিনো করে লুট করেছে। কিন্তু এরচেয়েও বড় সম্পদ আমার লুট হয়ে গেছে। আমার ভোট, গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার অধিকার লুট হয়ে গেছে। আর এটা আওয়ামী লীগ লুট করেছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া কারো অনুকম্পায় মুক্ত হবেন না। অবশ্যই তার যে হক ও ন্যায্য অধিকার- সেই হক ও অধিকারে তিনি মুক্ত হবে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আর যাই করা হোক, বেগম জিয়াকে আটকে রাখা যাবে না। কারণ জনগণ তাদের প্রিয় নেত্রীকে অবশ্যই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বের করে নিয়ে আসবে।
ক্ষমতাসীনরা কৌশল পাল্টিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ভিন্ন আঙ্গিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
/কে