ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী ২০ জনের তালিকা দুদকে

- ৭-Oct-২০১৯ ০৮:২৬ পূর্বাহ্ণ
:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে একের পর এক গ্রেফতার হচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা। ইতোমধ্যে এসব ক্যাসিনো কারবারীদের বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, চেক ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এরইমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে এসে পৌঁছেছে ২০ জনের একটি তালিকা, যারা ক্যাসিনোর টাকায় অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
সোমবার (০৭ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ জানান।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ক্যাসিনোর টাকায় অবৈধ অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন এমন অভিযোগে ১৫ থেকে ২০ জনের তালিকা আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। আমরা ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দিয়েছি। যদিও ক্যাসিনো সংশ্লিষ্ট অপরাধের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দুদকের কাজ নয়। শুধু অবৈধ সম্পদ অর্জনের অংশটুকু আমরা দেখবো। দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করে কেউ পার পাবে না। শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে।
গত ১ অক্টোবর ক্যাসিনোর মাধ্যমে যারা অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। কমিশনের এক জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত নেয়ার পর অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয় দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে এ পর্যন্ত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, এনামুল হক আরমান, জি কে শামীমসহ বেশ কয়েকজনকে প্রভাশালী নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
এছাড়া ক্লাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজের মতো প্রভাবশালীরাও গ্রেপ্তার হয়েছেন।