এবার বহিষ্কার হলেন যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আনিসুর

  • ১১-Oct-২০১৯ ০৮:৪২ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে আলোচনায় আসা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানকে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি। গণমাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতির চিত্র উঠে আসায় তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনটির প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সংগঠনটি।

যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আতিয়ার রহমান দিপু গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংগঠনের পরিচয়ে আর্থিক তসরুপ ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অপরাধে যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান আনিসকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আনিসের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এসেছে বিভিন্ন মাধ্যমে। এই অভিযোগের কারণে আমাদের আজকের প্রেসিডিয়াম বৈঠকে তাকে বহিষ্কারের বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কারের আগে তাকে শোকজ করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আতিয়ার রহমান বলেন, এখনতো শোকজ করার সুযোগ নাই।

চলমান অভিযান শুরু হওয়ার পর যুবলীগের নেতা আনিসের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন আওয়ামী লীগেরই অনেকে। তারা অভিযোগ করে, আনিস কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যালয়ে পিয়ন হিসেবে যোগ দেন ২০০৫ সালে। বেতন ছিল মাসে পাঁচ হাজার টাকা। সাত বছর পর বনে যান কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক।

মাত্র সাত বছরের ব্যবধানে যুবলীগের অফিস দেখাশোনার চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া এই আনিস এখন সংগঠনটির গুরুত্বপূর্ণ পদে। প্রভাবশালী নেতাদের ব্যবহার করে সামান্য বেতনের কর্মচারী থেকে বনে গেছেন কোটিপতি। দুর্নীতি-মাদকবিরোধী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযানে নজরদারিতে রয়েছেন তিনি। যেকোনো মুহূর্তে তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে যুবলীগ।

এর আগে চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের অনুপস্থিতিতেই সকাল ১০টায় যুবলীগের প্রেসিডিয়ামের বৈঠক শুরু হয়। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ।

আজকের বৈঠকের বিষয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক জানতেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আতিয়ার রহমান বলেন, ‘তার (ওমর ফারুক) নির্দেশেই আজকের বৈঠকটি হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে কিংবা অসুস্থতার কারণে (উনি) আজকে উপস্থিত হননি।’

বৈঠকের সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে না-সূচক জবাব দেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিয়ার।

যুবলীগের প্রেসিডিয়ামের সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শহিদ সেরনিয়াবাত, শেখ শামসুল আবেদীন, আলতাব হোসেন বাচ্চু, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আবদুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসাইন, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আলী খোকন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার নিখিল গুহ, শাহজাহান ভুইয়া মাখন, ডা. মোখলেছুজ্জামান হিরু ও আতিয়ার রহমান দিপু।

Ads
Ads