দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে দুদক চেয়ারম্যানের সরে যাওয়া উচিত: তাপস

- ১৪-Oct-২০১৯ ১২:০৮ অপরাহ্ন
:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::
যদি দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হন তাহলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের অবশ্যই পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি।
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় সোমবার (১৪ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট অ্যানেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আব্দুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে দুদক বা দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের ব্যর্থতা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে ফজলে নূর তাপস বলেন, অবশ্যই, আমি এ কারণে গতকাল একটি সভায় বলেছি, দুদক চেয়ারম্যান যদি বলে থাকেন বা বলতে চান বা মনে করেন, তিনি কোনও প্রভাবের কারণে এ ব্যবস্থা নেননি তাহলে তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। সে কারণে তার অবশ্যই পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত। যদি তিনি মনে করেন, তিনি কারও কথায় প্রভাবিত হবেন না তাহলে আমরা মনে করি, শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের পদক্ষেপ নেবে দুদক।
আব্দুল হাই বাচ্চুকে নিয়ে দুদকের কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি কয়েক দফা তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত কোনও মামলা করা হয়নি। তাই আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেছেন, শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের এ বিষয়ে জবাবদিহিতা দরকার। কেন এখন পর্যন্ত বেসিক ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর ব্যাপারে কোনও মামলা করা হয়নি এবং তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তা জানা দরকার।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় দেখেছি, তদন্ত করে দেখেছি বেসিক ব্যাংকের মাধ্যমে ফিনান্সিয়াল সেক্টরে যে দুর্নীতি হয়েছে তার মূল ব্যক্তি তৎকালীন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু। যার কারণে সরকার তাকে সেই পদ থেকে অপসারণ করেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত বেসিক ব্যাংক সংক্রান্ত যতগুলো দুর্নীতির মামলা হয়েছে, আমরা লক্ষ্য করেছি শুধুমাত্র কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীদের সেই মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনও দুর্নীতির মামলা আনা হয়নি। যদিও তার স্বেচ্ছাচারিতা ও একক সিদ্ধান্তে বিভিন্ন ঋণের ব্যাপারে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। সেটা আমাদের স্থায়ী কমিটির বিভিন্ন তদন্তের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয়েছে।