যে কারণে ভেঙে যাচ্ছে সিদ্দিক-মিমের সংসার

  • ১৫-Oct-২০১৯ ১০:০২ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: বিনোদন ডেস্ক ::

নাট্য জগতের জনপ্রিয় কমেডি অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। বহু নাটকে তার হাস্যরসে মাখা অভিনয় দর্শকদের বিনোদন দিয়েছে। এই অভিনেতা ২০১২ সালের ২৪ মে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিমকে বিয়ে করেন। সিদ্দিকের স্ত্রী মিমও মিডিয়া জগতের মানুষ। তিনি মডেলিং ও অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত।

বিয়ের পরের বছর সিদ্দিক-মিম দম্পতির সংসার আলো করে আসে পুত্র সন্তান। নতুন সদস্যকে নিয়ে ভালোই চলছিল তাদের সংসার। তবে সাম্প্রতিক খবর হচ্ছে, দুই তারকার আলোকিত সংসার নাকি এখন অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে গেছে। ভেঙে যাচ্ছে তাদের দাম্পত্য। সম্প্রতি সিদ্দিকের স্ত্রী মিমই গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।   

মিমের দেয়া তথ্য মতে, কয়েক মাস ধরেই নানা কারণে সিদ্দিকের সঙ্গে তার দূরত্ব বেড়ে গেছে। বাধ্য হয়ে গত তিন মাস ধরে তিনি স্বামীর কাছ থেকে আলাদা থাকছেন। এর কারণ প্রসঙ্গে মিম বলেন, কিছুদিন আগে তার একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করার কথা ছিল। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন এই মডেল ও অভিনেত্রী।

বিজ্ঞাপনটির নির্মাতা ছিলেন রানা মাসুদ। কিন্তু হঠাৎই মিম জানতে পারেন, ওই বিজ্ঞাপনে তাকে বাদ দিয়ে অন্য মডেল নিয়ে কাজ করা হয়ে গেছে। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, তার স্বামী সিদ্দিকই নাকি তাকে বাদ দিয়ে অন্য মডেল দিয়ে কাজ করানোর জন্য নির্মাতা মাসুদ রানাকে প্রভাবিত করেন।

স্বামীর এমন কাণ্ডে হতবাক মডেল ও অভিনেত্রী মিম। কেন সিদ্দিক এমনটা করলেন তিনি বুঝতে পারছেন না। এ প্রসঙ্গে মিম বলেন, সিদ্দিক নিজেও একজন শোবিজের মানুষ। অভিনয় করে, মডেলিং করে। তার কাজের ব্যাপারে আমার কোনো দিন কোনো আপত্তি বা নেতিবাচক ভাবনা ছিল। সে আমার সঙ্গে এমনটা কীভাবে করলো?

এদিকে মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যমকে সিদ্দিক বলেন, আকস্মিকভাবে সে বলছে মডেলিং করবে। কিন্তু আমাদের ছোট একটা শিশু আছে, তাকে দেখভাল করবে কে? আমি থাকবো কক্সবাজার সে থাকবে রংপুর বাচ্চাটাকে দেখবে কে? আমরা যখন বিয়ে করি তখন এরকম কোনো চিন্তার কথা বলেনি। এমনকী সংসার শুরুর সময়েও বলেনি যে সে মডেলিং করবে। এখন হুট করে কার বুদ্ধিতে সে এসব বলছে বুঝতে পারছি না।

জনপ্রিয় এই টেলিভিশন অভিনেতা বলেন, মিম গত রোজার ঈদে ওর বাবার বাড়ি মাদারীপুর গিয়েছে। এরপর থেকে আমার কাছে ফেরেনি। আকস্মিকভাবে জানাচ্ছে মডেল হতে না দেওয়ায় সে আমাকে ডিভোর্স দেবে। এই জেদ ধরলে সংসার ভেঙে যাবে। সেও হয়তো ভালো একটা ছেলেকে বিয়ে করতে পারবে, আমিও একিওটা ভালো মেয়ে বিয়ে করতে পারবো কিন্তু আমাদের শিশুটার কী হবে? ওর বয়স ৬ বছর।

স্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়ে সিদ্দিক বলেন, আমি বলবো তুমি ফিরে এসো। আমাদের এতো ছোত বাচ্চা রয়েছে দুইজন দুইদিকে চলে গেলে বাচ্চাটা মানুষ হতে পারবে না। ফিরে এসে সংসারটা বাঁচাও, আমাদের শিশুটাকে দেখো। এছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না।

Ads
Ads