রোহিঙ্গাদের জন্য আর এক ইঞ্চিও বনভূমি দেয়া হবে না: সাবের হোসেন

  • ১৮-Oct-২০১৯ ০২:১৪ অপরাহ্ন
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

একাদশ জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, উখিয়া টেকনাফ এখন মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। এমনিতে বড় ক্ষতি হয়েছে, তাই এখন নতুন করে আর কোন হিসাব গুনতে চাই না। রোহিঙ্গাদের জন্য আর এক ইঞ্চিও বনভূমি দেয়া হবে না।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের শহীদ জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে সংসদীয় কমিটির এই বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের। যা পূরণ করা সম্ভব নয়। রোহিঙ্গাদের কারণে বন গেছে, গাছ নেই, পশুপাখিসহ ধ্বংস হয়েছে জীববৈচিত্র্য, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বন্য হাতি। এখন নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে পানি সংকট। প্রায় ১০ হাজারটি গভীর নলকুপ থেকে প্রতিদিন পানি তোলা হচ্ছে। ফলে পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নিচে নামছে আর বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে পানি সংকট। পানি সংকটের কারণে আগামীতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

পাহাড় কাটা নিয়ে তিনি বলেন, আর যারা পাহাড় কাটবে তাদের রেহাই নেই। এনজিওরা পাহাড় কাটায় জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

আজকের ৮ম সংসদীয় কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে - রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কি পরিমান পরিবেশের উপর প্রভাব পড়েছে এবং ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপনের জন্য কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটি আগামী নভেম্বর মাসে তার প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো: শাহাব উদ্দিন বলেন, সরকার পরিবেশ সুরক্ষার উপর খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে। পাহাড় কাটা, বন ধ্বংস করাসহ নানাভাবে পরিবেশ ধ্বংস করা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশ সুরক্ষা হলেই মানষসহ সমস্ত প্রাণী কুলের সুরক্ষা হবে।

সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৮ম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, স্থায়ী কমিটির সদস্য জাফর আলম এমপি, আনোয়ার হোসেন এমপি, মো: মোজাম্মেল হোসেন, নাজিম উদ্দিন এমপি, রেজাউল করিম বাবলু এমপি, বেগম খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি, জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, উপসচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

Ads
Ads