মেননের স্ত্রীর এত সম্পদ এলো কোথা থেকে?

- ১৯-Oct-২০১৯ ০৮:২৮ অপরাহ্ন
ভোরের পাতা ডেস্ক
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজ কল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের বাৎসরিক আয় বেড়েছে চারগুণ। এছাড়া অস্থাবর সম্পদ ৩ গুণ বাড়লেও বর্তমানে তার কোনো ব্যবসা থেকে আয় নেই।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে জমা দেয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী হলফনামায় ‘ব্যবসা থেকে আয় নেই’ বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
হলফনামা যাচাই করে দেখা যায়, নবম জাতীয় নির্বাচনে মেনন ব্যবসা থেকে আয় করতেন ৩ লাখ টাকা এবং পত্রিকায় কলাম লিখে ২৫ হাজার ৭২৪ টাকা আয় করার কথা উল্লেখ করেন। দশম জাতীয় সংসদে ব্যবসা থেকে ৬ লাখ টাকা এবং পত্রিকায় কলাম লিখে তার আয় ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা আয়ের কথা উল্লেখ করেন।
তবে এবারের (একাদাশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) হলফনামায় ‘ব্যবসা থেকে আয় নেই’ বলে দাবি করলেও মেনন ও তার স্ত্রীর হাতে নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনী হলফনামায় অনুযায়ী, মেননের কাছে নগদ দেড় লাখ টাকা ছিল, স্ত্রীর ছিল ৩০ হাজার। বর্তমানে তার নগদ টাকার পরিমাণ ৭ লাখ ৫৭ হাজার ও স্ত্রীর ৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।
গত ১০ বছরে মেননের বাৎসরিক আয় বেড়েছে ৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকার বেশি। অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৫১ লাখ ৮৮ হাজার টাকার বেশি। স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। অর্থাৎ ১০ বছরে তার বাৎসরিক আয় প্রায় চারগুণ ও অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে তিনগুণের বেশি।
নবম ও দশম নির্বাচনী হলফনামায় তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তি না থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ২৪০ টাকা। একই সঙ্গে রাশেদ খান মেননের স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ২২ গুণ। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী, তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৩০ টাকা।
এদিকে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এমপি এবং মন্ত্রীত্ব পাওয়া রাশেদ খান মেননই এখন বরিশালে গিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি এমন বক্তব্য দিয়েছেন। মূলত তিনি ক্যাসিনো বাণিজ্যে নিজের নাম আড়াল করতে এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনকে ধামাচাপা দিতেই সরকারকে চাপে রাখতে অথবা ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে মিলে এসব কথা বলেছেন বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।