চিকিৎসক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

- ২৩-Oct-২০১৯ ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ
:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ‘গরীবের ডাক্তার’ খ্যাত শাহ আলম হত্যার প্রধান আসামি নজির আহমেদ সুমন ওরফে কালু (২৬) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের হাবিব রোড এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল ও ২৭টি গুলি জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ নজির আহমেদের লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
র্যাবের ভাষ্য, নিহত নজির আহমেদ কুমিরায় খুন হওয়া শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শাহ আলম হত্যার প্রধান আসামি। তিনি উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
চিকিৎসক হত্যার ঘটনায় এর আগে মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার লেগুনাচালক মো. ফারুককে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিন বিকেলে ফারুক চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শিপলু কুমার দের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত শুক্রবার সকালে সীতাকুণ্ডের কুমিরায় বাইপাস এলাকা থেকে চিকিৎসক শাহ আলমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন শনিবার রাতে নিহত চিকিৎসকের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুদ্দিন শাওন বন্দুকযুদ্ধের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজির আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন। নজির আহমেদের বুকে তিনটি ও পেটের বাঁ পাশে একটি গুলি লেগেছে।
র্যাবের চান্দগাঁও ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, তাঁদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল, চিকিৎসক শাহ আলম হত্যার মূল আসামি নজির আহমেদ উত্তর বাঁশবাড়িয়া হাবিব রোড এলাকায় অবস্থান করছেন। গত দিবাগত রাত তিনটার দিকে র্যাব সদস্যরা তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য ওই এলাকায় যায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে নজির আহমেদ দলবল নিয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে নজির আহমেদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে সীতাকুণ্ড থানায় খবর দেওয়া হলে নজির আহমেদকে পুলিশের এসআই সাইফুদ্দিন শাওন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এসপি কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, এ মামলায় নজির আহমেদকে মূল হোতা হিসেবে শনাক্ত করে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এই মামলায় র্যাবের হাতে গ্রেফতার লেগুনা চালক ফারুক।