পালিয়ে থাকা খুনিদের ফেরাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও বাড়ানো হবে: কাদের

  • ৩-Nov-২০১৯ ০৬:১০ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডে বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনিদের ফেরাতে আগামী দিনগুলোতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও বাড়ানো হবে।

রোববার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে যারা খুনি, তাদের দন্ড কার্যকর হয়েছে। যাদের দন্ড কার্যকর হয়নি, তারা বিদেশে পলাতক। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য জোরদার প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। এই কূটনৈতিক প্রয়াস সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আইনে সমস্যা আছে। অনেক দেশে মৃত্যুদন্ডের কোনো বিধান নেই। যারা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে তারা ফাঁসির আসামী। ফাঁসির আসামি বিধায় তাদের ফিরিয়ে আনতে অসুবিধা হচ্ছে। তবুও বিভিন্ন দেশে যারা রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, উচ্চ পর্যায়ে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তাদের কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কলঙ্কজনক রক্তাক্ত দু’টি ঘটনা- ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট, এরপর ৩ নভেম্বর। ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর একই সূত্রে গাঁথা। একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন ও নেতৃত্ব শূন্য করে দেয়ার ঘৃণ্য অভিলাষে আমাদের জাতির চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের চারজন প্রথম সারির সংগঠককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

তিনি বলেন, তাদের যে স্বপ্ন, শহীদদের স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতার যে স্বপ্ন, সে স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া এটা আমাদের অঙ্গীকার।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর আজীবন রাজনৈতিক সহকর্মী, তার অবর্তমানে যারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেন সেই জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে জেলখানার ভেতরে গুলি করে ও বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে ঘাতকচক্র। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার সবচেয়ে ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক সদস্য হিসেবে পরিচিত এবং তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোস্তাক আহমদের প্ররোচণায় এক শ্রেণীর উচ্চাভিলাসী মধ্যম সারির জুনিয়র সেনা কর্মকর্তারা এ নির্মম হত্যাকাণ্ড চালায়। রাষ্ট্রের হেফাজতে হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনাটি বাংলাদেশে পালিত হয়ে আসছে ‘জেল হত্যা দিবস' হিসেবে।

Ads
Ads