লাখ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়েও নেতা বানাননি ঢাকা মহানগর দ. ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান

- ১২-Nov-২০১৯ ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ
::উৎপল দাস::
যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক বানাবেন বলে আসাদ মোল্লার কাছ ৩ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান। এই টাকা নেয়ার পর ১০০ ও ১৫০ টাকার খালি দলিলে স্বাক্ষর করে রাখেন সুচতুর মেহেদী। পাশাপাশি আরো ১৬ লাখ টাকা নগদ দাবি করেন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষ এই নেতা। কিন্তু দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় ডেমরা থানায় রাজনীতি করা বয়সোর্ত্তীণ আতিকুর রহমান খানকে যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি বানিয়েছেন মেহেদী হাসান। এমন অভিযোগ করেছেন ১৪ সদস্য বিশিষ্ট যাত্রাবাড়ী থানা কমিটিতে ঠাঁই না পাওয়া আসাদ মোল্লা।
গত ১১ নভেম্বর রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসেন এ কমিটির অনুমোদন দেন।
এমনকি কমিটি অনুমোদনের পরই আসাদ মোল্লার ফোন নম্বরটি ব্লকলিস্টে ফেলে দেন মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান।
এর আগে মুগদা থানা কমিটির অনুমোদনের সময়ও একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে অগ্রিম ৫ লাখ টাকা নিয়ে তাকে কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ দিয়েছেন এই মেহেদী হাসান। অপরপক্ষের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে মুগদা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদটি বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে আসাদ মোল্লা দাবি করেন, আমি ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করবো। ইতিমধ্যেই মেহেদী হাসানের লোকজন আমাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন আসাদ মোল্লা। তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের নতুন যে সভাপতি হয়েছেন আতিকুর রহমান খান তার বয়স ৩১ এর বেশি। এছাড়া তিনি ডেমরা থানা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও কোনোদিন যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগে সক্রিয় ছিলেন না।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ভোরের পাতাকে বলেন, এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।