আবরার হত্যা মামলা: ২৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট চূড়ান্ত

  • ১৩-Nov-২০১৯ ০৮:৪২ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বুধবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এতে মোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আবরারের বাবা মামলা করেছিলেন। আর তদন্তে আরও ছয়জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এজাহারভুক্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকি তিনজন পলাতক রয়েছে। আর এজাহারের বাইরে তদন্তে যে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে তার মধ্যে একজন পলাতক আছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে বিফ্রিং করে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘মামলার তদন্তে আমরা বস্তুগত আলামত সংগ্রহ করেছি। সিসিটিভির ফুটেজ পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য-প্রমাণ, তাদের ফেসবুক মেসেঞ্জারের যে বিষয়গুলো রয়েছে সব মিলিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্লেষণ করে এই চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া আটজন আসামির যে বক্তব্য নিয়ে চার্জশিট প্রস্তুত করেছি তাতে সাজা নিশ্চিত হবে।’

এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন-মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা ও এ এস এম নাজমুস সাদাত।

এজাহার বহির্ভূত পাঁচজন হলেন- ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।

গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

ফেসবুকে মন্তব্যের সূত্র ধরে শিবির সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আবরারকে লাঠি ও ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে ইতিমধ্যে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই যে মাতাল অবস্থায় আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, তা উঠে এসেছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নিজস্ব তদন্তেও।

Ads
Ads