স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম মুছে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করার নির্দেশ হাইকোর্টের

- ১৪-Nov-২০১৯ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ
:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::
আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশের সব সড়ক ও স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম মুছে ফেলতে শেষবারের মতো নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বাধীনতাবিরোধীদের পরিবর্তে ওইসব স্থানের নামকরণ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করার আদেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতের রিটকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার একে রাশিদুল হক।
স্বাধীনতাবিরোধীদের নামে স্থাপনা, সড়ক, অবকাঠামোর নামকরণ স্থগিত চেয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, সাংবাদিক, গবেষক শাহরিয়ার কবীর। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৪ মে রুলসহ খান-এ সবুর ও শাহ আজিজুর রহমানের নাম ব্যবহার স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট।
রুলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের নামে থাকা সড়ক, স্থাপনা ও অবকাঠামোর নাম পরিবর্তনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, পরিবর্তনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সেসবের নামকরণ কেন করা হবে না এবং যারা ওই নামকরণের জন্য দায়ী তাদের কেন বিচারের আওতায় আনা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।
পরে স্থাপনাগুলোর নাম পরিবর্তন করে প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব ও খুলনার মেয়রকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল।
বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আদেশের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও কোনও স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম না সরানোর কারণে এ বিষয়ে পুনরায় শুনানি নিয়ে আদালত প্রশাসনকে শেষবারের মতো সময় বেঁধে দিলেন।
প্রসঙ্গত, আদালতে স্বাধীনতাবিরোধী যে ২০ জনের তালিকা দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আব্দুল আলিম, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ কায়সার আলী, মৌলভীবাজারের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান এনএম ইউসুফ আলী, সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া খান মজলিস, ফরিদপুরের আব্দুর রাজ্জাক মিয়া, মৌলভীবাজারের মাহতাব উল্লাহ, গাইবান্ধার আব্দুল আজিজ ও আব্দুল জব্বার, নোয়াখালীর তরিকুল্লাহ, ঝিনাইদহের মিয়া মনসুর আলী, কুমিল্লার রেজাউর রহমান, নাটোরের আব্দুর সাত্তার খান মধু মিয়া ও কাছির উদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণের মো. তামিমুল এহসান ও মোহাম্মদ উল্লাহ, নেত্রকোনার আব্দুর রহমান, মেহেরপুরের মিয়া মনসুর আলী ও সাবদার আলী এবং ঝিনাইদহের সফি আহমেদ।
/কে