খুলনা-সাতক্ষীরায় বাস ছাড়েনি, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহসড়কেও দুর্ভোগ

- ২১-Nov-২০১৯ ০৬:১১ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারের দাবিতে চলা আন্দোলন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপরও খুলনা ও সাতক্ষীরায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কেও। তবে নড়াইলে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
তবে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পূর্বপশ্চিমবিডির প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে বাস ছাড়ার কথা ছিল। সকালে বাস না পেয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন স্কুল শিক্ষার্থীরা। পিইসি পরীক্ষা চলমান থাকায় অনেক শিক্ষার্থী রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজিতে বাড়তি দাম দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, নতুন সড়ক আইনের কিছু ধারায় মালিক ও চালকদের কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ থাকায় চালক ও মালিকরা ভয়ে গাড়ি বের করছেন না।
একই কথা জানালেন সাতক্ষীরা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমানও। তিনি জানান, নতুন আইন সংশোধনের পর বাস্তবায়নের দাবিতে শ্রমিকরা বাস চালানো বন্ধ করে দেয়। সরকারের আশ্বাস পেলেই রাস্তায় নামবে শ্রমিকরা।
আলোচনার পরও এখনো কেন বাস চলাচল শুরু হয়নি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বাস মালিকরা অনুমতি দিলেই শ্রমিকরা বাস চালানো শুরু করবে। আপনারা মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কেও। যাত্রীরা গন্তব্যে যেতে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু বাস পাচ্ছেন না।
ভোর থেকে সকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই থেকে জামুর্কী পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে প্রত্যেকটি বাসস্ট্যান্ডেই একই চিত্র দেখা গেছে।
এ সময় মহাসড়কে উত্তরাঞ্চলগামী দু-একটি বাস, কিছু ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, প্রাইভেট কার, ম্যাক্সি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে।
মির্জাপুরে গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মহাসড়কে বাস চলছে না। এ কারণে যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মহাসড়কে সারাক্ষণ নজরদারি রাখছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। রাত সোয়া ৯টার পর এ বৈঠক শুরু হয়। রাত ১২টা ৫০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (পরিবহন মালিক-শ্রমিক) ধর্মঘট প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা তাদের ৯ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করেছি। লাইসেন্স, ফিটনেস সনদ আপডেটের জন্য তাদের ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।