সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের আশ্বাস দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

- ২৪-Nov-২০১৯ ১০:১২ পূর্বাহ্ণ
:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::
সড়ক আইন সংশোধনের ব্যাপার আশ্বাস দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, এইটা একটু দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। এই আইন পাল্টাতে হলে সংসদে যেতে হবে। একবার আইন হয়ে গেলে সেটি পরিশুদ্ধ করতে সময় প্রয়োজন। তবে আপাতত যেসব ধারা সংশোধনের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত শিথিল রেখে বাকি ধারাগুলো বহাল থাকবে।
শনিবার(২৩ নভেম্বর ) রাত সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, আইন সংশোধনের প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে যাবে কেবিনেটে। সেখান থেকে আবার আইন মন্ত্রণালয়ে। আইন মন্ত্রণালয় ঘুরে যাবে জাতীয় সংসদে। কিন্তু পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক ও মালিকরা সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাই, গত ২১ নভেম্বর এখানেই আরো একটি সভা হয়েছিল বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের নিয়ে। এবার যারা এসেছেন তাদের দাবিও প্রায় একই রকম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন সড়ক পরিবহন আইনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন আপত্তি জানিয়েছে। আপত্তির প্রেক্ষিতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি কাজ করছে। সেখানে পরিবর্তনের জন্য আমরা কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ পেয়েছি। এর সূত্রধরে শনিবার সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে আমরা বৈঠকে বসেছিলাম। সুপারিশগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
মন্ত্রী বলেন, যে যেভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন, আপাতত সেই লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালাবেন। ২০২০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বিআরটিএ'র সঙ্গে যোগাযোগ করে লাইসেন্স হালনাগাদ কিংবা উপযুক্ত লাইসেন্স করে নিতে হবে। বিআরটিএ চেয়ারম্যান এবং সচিব এ ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
যারা ভুয়া লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন, তাদের সনাক্ত করা হবে। এরপর তাদের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকরা দাবি করেছেন, এরইমধ্যে একাধিক মামলার কারণে বড় অংকের জরিমানা যুক্ত হয়েছে, এ জরিমানার মধ্যে সরকারি ফি বাদে বাকি অংশ যেন মওকুফ করা হয়। এ ব্যাপারে আমরা বলেছি, আপনারা যথাযথভাবে আবেদন করুন। এরপর আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সুপারিশ পাঠাবো।
এছাড়া আমরা বিআরটিএ এবং হাইওয়েতে জনবল বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে আইন মেনে চলার সংস্কৃতি চালু করা। সেইসঙ্গে দুর্ঘটনার হার যাতে কমে যায়, সেদিকে নজর রাখা।
বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি বলেছি কয়েকটি ব্যাপারে শ্রমিক ফেডারেশন সুপারিশ করেছে। সেগুলি নিয়ে যে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি রয়েছে তারা নিয়ম মেনে বিষয়টি দেখবেন।