টাকা দিলেই পাওয়া যেত ‘জাল মেডিকেল সনদ’

- ২-Dec-২০১৯ ০১:৩৭ অপরাহ্ন
:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::
মেডিকেল সার্টিফিকেট আইনি প্রয়োজনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ সনদটিই কিনা টাকা দিলেই মিলে যেত সহজে। হাসপাতাল থেকে পেতে সময় লাগলেও একটি চক্র মাত্র কয়েক ঘন্টায় হাতের মোয়ার মতো জাল সনদ তৈরি করে দিত। শুধু তাই নয় তাদের কাছে মিলত জন্ম ও মৃত্যু ভুয়া সনদও।
এই চক্রটিরই একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গ্রেপ্তার আরিফ হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাল সনদ নিয়ে তাদের কৌশলে ধরা পড়া আরিফ অসাধু চক্রটির প্রধান দায়িত্ব ছিলেন বলে ভ্যাষ্য র্যাবের।
র্যাব বলছে, এই অসাধু চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে জাল ও ভুয়া মেডিকেল সনদ প্রস্তুত ও সরবরাহ করে আসছিলো। তারা ঢামেক নার্সিং ইনস্টিটিউটের গ্যারেজে বসে বিভিন্ন ধরণের জাল সনদ তৈরি করতো।
র্যাব -৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জাহাঙ্গীর জানান, তাদের কাছে অভিযোগ ছিলো ঢাকা মেডিকেলের একটি দালাল চক্র দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ কেসের বিভিন্ন ধরণের জাল সনদ দিয়ে আসছে। গাড়ি রাখার গ্যারেজে বসে তারা এসব সনদ তৈরি করতো।
র্যাব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা জানি, যখন কোনো হত্যা বা মারামারির মামলা দায়ের করা হয় তখন পুলিশ কেসের জন্য একটি মেডিকেল সনদের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাস্তবে মেডিকেল সনদ পাওয়া একটি দীর্ঘসুত্রিতার কাজ। আর সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে এই চক্রটি টাকার বিনিময়ে অল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জাল সনদ দিয়ে আসছিলো। এই জাল সনদ ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তি ভুয়া এবং ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতো।
মেজর জাহাঙ্গীর বলেন, এমনকি জন্ম সনদ, মৃত্যু সনদ কিংবা অসুস্থতা জনিত ছুটির জন্য যে সনদ লাগে সেগুলিও তারা ইচ্ছেমতো বানিয়ে দিতো। এমনকি বিদেশে যাওয়ার জন্য জাল মেডিকেল সনদ সরবরাহ করতো।
এই কাজগুলো করার জন্য ঢাকা মেডিকেলের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে তারা আতাত রাখতো উল্লেখ করে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘মেডিকেলের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নাম পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হবে।’
গ্রেপ্তার আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ বাদি হয়ে জাল সনদ তৈরি করার দায়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান মেজর জাহাঙ্গীর।