‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল’ অনুমোদন পেল ভারতের মন্ত্রিসভায়

- ৪-Dec-২০১৯ ০৮:৪২ পূর্বাহ্ণ
:: আন্তর্জাতিক ডেস্ক ::
প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে হিন্দুসহ অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের নাগরিকত্ব বিলে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল বা সিএবি নামের এই বিলটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।
এ আইনের অধীনে প্রতিবেশী দেশগুলো যথাক্রমে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, খ্রিষ্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পারসিদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে।
নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দিতে আইনি বাধা দূর করেই চলতি আইনে সংশাধন করে নতুন বিলটি উপস্থাপন করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যখন বিলটি পার্লামেন্টে উপস্থাপন করবেন, তখন বিজেপির পার্লামেন্ট সদস্যদের সবাইকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
আইনটিতে মুসলমানদের বাদ দেয়ায় তা ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরোধী বলে সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা।
রাজনাথ সিং বলেন, প্রতিবেশী তিনটি দেশ মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেখানে বসবাস করা অমুসলিমরা নির্যাতনের শিকার।
এবার লোকসভা এবং রাজ্যসভায় বিলটি পেশ এবং পাস করানোর প্রক্রিয়া শুরু করবে মোদী সরকার।
জানা গেছে, ৯ ডিসেম্বর লোকসভায় খসড়া বিলটি পেশ করা হবে। সেখানে আলোচনার পর ভোটাভুটিতে পাস করানো হবে বিলটি। তারপর ১০ ডিসেম্বর বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করার কথা। দুই সভায় বিলটি পাস হলে সেটি অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে বিলটি আইনে পরিণত হবে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশের শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি, খ্রিশ্চান, জৈন সম্প্রদায়ের মানুষেরা ৬ বছর ভারতে বসবাস করলেই নাগরিকত্ব পাবেন। আগে ৮ বছর বাস করার পর ভারতের নাগরিকত্ব পেতেন তাঁরা। তার আগে ছিল ১২ বছর বাস করার আইন। এই আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ের নাগরিকত্ব নিয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। সেকারণেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। কিন্তু এনআরসি চালুর আগে এই বিলটি পাস করাতে মরিয়া বিজেপি।