বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত অবমাননা করেছেন :অ্যাটর্নি জেনারেল

- ৫-Dec-২০১৯ ০৭:২৬ পূর্বাহ্ণ
:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে খালেদার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন দাখিল না করা নিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হৈচৈয়ের ফলে আদালতকে অবমাননা করা হয়েছে ।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) খালেদার জামিন শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের উত্তর হলে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ সংক্রান্ত শুনানি শুরু হয়। শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, খালেদা জিয়ার আরো কিছু স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা বাকি আছে। এ জন্য দুই সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। এরপর আদালত এক সপ্তাহ সময় দিয়ে ১২ ডিসেম্বর নতুন দিন নির্ধারণ করেন।
নতুন তারিখ নির্ধারণের পরই আদালতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতিদের নেতৃত্বে আইনজীবীরা এজলাস ত্যাগ করেন। পরে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার জামিন দাবিতে প্রধান বিচারপতির কক্ষে অবস্থান নেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিএনপপন্থী আইনজীবীরা আদালত অবমাননা করেছেন। আপিল বিভাগের ভেতরে, আদালতের এজলাজ কক্ষে নজিরবিহীন হট্টগোল করেছেন। তাদের হট্টগোলের বিষয়ে আমি আশা করি প্রধান বিচারপতি ব্যবস্থা নেবেন। আর ভবিষ্যতে যদি এরকম করেন তাহলে আদালতে মামলা পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে যাবে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত বছর ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে জামিনের আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট গত ৩১ জুলাই জামিনের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন। এই খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে গত ১৪ নভেম্বর আপিল করেন খালেদা জিয়া। এই আবেদনের ওপর গত ২৮ নভেম্বর আপিল বিভাগে শুনানি হয়।
সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এখন ১৭টি মামলা বিচারাধীন। এ পর্যন্ত দুটি মামলায় (জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা) তাঁর ১৭ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল আপিল বিভাগে এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছর সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল হাইকোর্টে বিচারাধীন।