বিশ্বের কাছে ধর্ষণের রাজধানী ভারত: রাহুল গান্ধী

- ৭-Dec-২০১৯ ০২:২৬ অপরাহ্ন
:: সীমানা পেরিয়ে ডেস্ক ::
চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে গতরাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ভারতের উন্নাওয়ের নির্যাতিতার। তরুণীর মৃত্যু ঘিরে শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত উত্তরপ্রদেশ-সহ জাতীয় রাজনীতি। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। সরব হয়েছেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। শনিবার সকালেই উন্নাওয়ের নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছে যান সনিয়া-তনয়া।
বিজেপির সঙ্গে জড়িত তাই অভিযুক্তদের আড়াল করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন রাজ্যে অপরাধীদের জন্য কোনও জায়গা নেই, তবে উনি নিজেই রাজ্যের এ কী হাল বানিয়েছেন? আমার মনে হয়, এখানে মহিলাদের জন্য কোনও স্থান নেই। এ রাজ্য অপরাধীরা আইনকেও ভয় পায় না।' সাংবাদিকদের বলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। পাশাপাশি নির্যাতিতার 'নিরাপত্তা' নিয়েও প্রশ্ন করেন তিনি। বলেন, 'কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা গেল না?'
গত এক বছর ধরে নির্যাতিতা ও পরিবারকে ভয় ও হুমকির শিকার হতে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রাজ্য প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'রোজ এই ধরনের ঘটনা হচ্ছে। প্রশাসনের কিছু করা উচিত!'
উন্নাও নিয়ে সকালেই যোগী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। টুইটারে তিনি লেখেন, 'ন্যায় ও নিরাপত্তার জন্য লড়াই করতে করতে আরও এক মেয়ের মৃত্যু হল।' দুপুরে কেরালার ওয়ানাডে জনসভায় কংগ্রেস সাংসদের নিশানায় ছিল কেন্দ্রীয় সরকার, 'বিশ্বের কাছে ধর্ষণের রাজধানী ভারত। বিদেশি রাষ্ট্রগুলির প্রশ্ন, কেন ভারত নিজের মেয়ে-বোনেদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। উত্তরপ্রদেশের একজন বিজেপি বিধায়ক ধর্ষণের অভিযুক্ত এবং প্রধানমন্ত্রী একটা শব্দও বললেন না।'
ধর্ষণের মামলার শুনানির জন্য আদালতে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হন উন্নাওয়ের বছর ২৩-এর তরুণী। পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছিলেন, পরিচিত শিবম, শুভম ত্রিবেদী-সহ ৫ জন তাঁকে বাধা দেয়। হুমকি পাত্তা না দেওয়ায়, গত ভোরে মারধর করা হয় নির্যাতিতাকে। ছুরি আঘাতের পাশাপাশি গায়ে কেরোসিন ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। কোনও মতে পালিয়ে পুলিশকে ফোন করেন ওই তরুণী। এরপর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। গতরাতে তাঁর মৃত্যু হয়। সূত্র: এই সময়