বঙ্গবন্ধু বিপিএলের জমকালো উদ্বোধন

- ৮-Dec-২০১৯ ০১:৫৪ অপরাহ্ন
:: ক্রীড়া প্রতিবেদক ::
সব অপেক্ষার প্রহর শেষ, পর্দা উঠল বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সপ্তম আসরের। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টায় টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই অনুষ্ঠান আপনারা ভালোভাবে উপভোগ করুন, এই কামনা করে আমি বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করলাম।'
এসময় উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবারের আসরে শক্তিশালী দল সিলেট থান্ডারের চেয়ারপারসন মহিউদ্দিন মিয়া মঈন এবং দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও ভাইস চেয়ারম্যান ড. কাজী এরতেজা হাসান সিআইপি।
আগেই জানা ছিল, বঙ্গবন্ধু বিপিএলে উদ্বোধন করবেন প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিপিএলের আগমনী বার্তা ছড়িয়ে দিতে ‘হোম অব ক্রিকেট’ শেরেবাংলায় পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী। আজ সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে শেরেবাংলায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটা বিলম্বিত হয়ে ৬টা নাগাদ শুরু হয়। সূচি অনুযায়ী মইদুল ইসলাম খানের (শুভ) একক পারফরম্যান্স দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর মঞ্চে এককভাবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী রেশমি মির্জা। এর পরই মঞ্চে উঠেন জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা নগর বাউল খ্যাত জেমস।
টুর্নামেন্ট শুরু হবে আগামী ১১ ডিসেম্বর। তার আগে আজ জমকালো উদ্বোধনীর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের আগমনী বার্তা ছড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে স্টেডিয়ামের প্রাঙ্গণ নয় এর আশপাশজুড়েও কড়া নিরাপত্তায় জারি করা হয়েছে। দুপুর আড়াইটা নাগাদ গেট খোলার কথা থাকলেও গেট খোলা হয় প্রায় ৩টার দিকে। প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয় শেরেবাংলার গেটগুলো।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষভাবে আয়োজিত হচ্ছে এবারের বিপিএল। জাতির জনককে উৎসর্গ করে নাম দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। বিশেষ বিপিএলকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ কিছু করার ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন । ঘোষণা মতোই সবকিছু হচ্ছে।
বিপিএলের উদ্বোধন অনুষ্ঠান মাতাতে দেশ-বিদেশের একঝাঁক তারকাকে এনেছে বিসিবি। যার মধ্যে বড় চমক হলেন বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ। এসেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী সনু নিগম ও কৈলাস খের। এখানেই শেষ নয়, মঞ্চ মাতাচ্ছেন বাংলাদেশের বড় বড় তারকাও। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জেমস, মমতাজসহ আরো অনেকে।
এর আগে মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে এবারের বিপিএলে নাম লেখানোর বিষয়ে ড. কাজী এরতেজা হাসান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একজন ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষক। তার একজন আদর্শিক সৈনিক হিসাবে এবারের বিপিএল’এ নিজের নাম লেখাতে পেরে গর্বিত বোধ করছি। কেননা, শেখ হাসিনার মতো পৃথিবীর আর কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে এতটা ক্রীড়ামোদী হিসাবে সমসাময়িক বিশ্বে দেখা যায় না। তিনি যখনই সময় পান ক্রিকেট মাঠে খেলোয়ারদের উৎসাহ দিতে ছুটে যান। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের অনেক ঐতিহাসিক বিজয় তিনি মাঠে বসেই দেখেছেন।
ক্রিকেট অন্তপ্রাণ ড. কাজী এরতেজা হাসান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে বড় সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালও দেশের খেলাধুলার পৃষ্ঠপোষকতায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তার হাতেই গড়ে উঠেছে দেশের অনেক প্রতিষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান। একমাত্র ক্রিকেটই বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে পরিচিত করেছে। এছাড়া আমাদের ডাইনামিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেও আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে রোল মডেল। শেখ হাসিনার স্বপ্নের মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে খেলাধুলার বিকল্প নেই। সেদিক বিবেচনায় আমি এবার বিপিএল’লে নাম লিখিয়েছি।
এফবিসিসিআই পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান আরও বলেন, এবারের বিপিএল’এ সিলেট থান্ডারের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতা করছে ভোরের পাতা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ই-কমার্স ভিত্তিক বাজার২৪.বিজ।
এদিকে বিপিএলে নাম লেখানোর বিষয়ে সিলেট থান্ডারের চেয়ারপারসন ও জিভনি ফুটওয়্যার এন্ড ক্রাফটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন মিয়া মঈন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একজন মানুষ হিসাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এবারের 'বঙ্গবন্ধু বিপিএল' অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা শোনার পর থেকেই মনস্থির করেছিলাম এবার কোনো একটি দলের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার। হালালভাবে ব্যবসা প্রসার করে দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করার তাগিদ অনেক আগে থেকেই অনুভব করতাম। তাই ঐতিহাসিক এই সময়ে সিলেট থান্ডারের দায়িত্ব নিয়েছি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের বিপিএল’র আসরে রংপুর রাইডার্সের চেয়ারপারসন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ড. কাজী এরতেজা হাসান। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ কুস্তি ফেডারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছেন।