১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ

  • ১৫-Dec-২০১৯ ০৬:০৩ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধিতাকারী এবং মুক্তিযুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুণ্ঠনে পাকিস্তানি বাহিনীকে যারা সহযোগিতা করেছিল সেসব রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। একই সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সরকারি পরিবহন পুল ভবনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এই তালিকা প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের তালিকা (প্রথম পর্ব) প্রকাশ করেন। মন্ত্রী জানান, একাত্তরের রণাঙ্গনে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি নয়।

সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা প্রথম পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের নামের তালিকা প্রকাশ করেছি। ভবিষ্যতে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধিনতাবিরোধীরা রাজাকার-আল বদর নামে সশস্ত্র বাহিনী গঠন করে লুটপাট ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বরের আগে তাদের নামের তালিকা প্রণয়ন করা ছিল আমরা প্রতিশ্রুতি। সংসদেও এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম। এরই আলোকে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সংরক্ষণাগারে মুক্তিযুদ্ধের সময় নানা দালিলিক প্রমাণাদি রয়েছে, ওই সময়ের সংরক্ষিত তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করেছিলাম।

মোজাম্মেল হক বলেন, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা আশানুরূপ সাড়া পাইনি। তবে আমরা আবারও তাদের অনুরোধ করবো, জানুয়ারি মাসের মধ্যে সেই সময়ের তথ্যাদি পাঠিয়ে সহযোগিতা করবেন।

স্বাধীনতার ঘোষণা বিষয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার অধিকার বঙ্গবন্ধু ছাড়া অন্য কারও ছিল না। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তাকে দেশের মানুষ রায় দিয়েছিল। অনেকেই তা পাঠ (স্বাধীনতার ঘোষণা) করতে পারেন।

মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরাও বিভিন্ন জনসভায় পাঠ করেছি। তাই বলে কেউ দাবি করতে পারে না যে, তিনি ঘোষক। ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধু-ই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার ডাকেই বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অতীতে সংগ্রহ করা তথ্য উপাত্ত থেকে একাত্তরের রাজাকার বাহিনীর সদস্য হিসেবে যারা ভাতা নিয়েছে বা যাদের নামে অস্ত্র এসেছে, তাদের নাম-পরিচয়, ভূমিকাসহ যেসব তথ্য স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ছিল সেই তথ্য ধরে করা তালিকাই নতুন করে প্রকাশ করা হবে।

পরবর্তীতে ধাপে ধাপে অন্য ঘাতক বাহিনীর সদস্যদের তালিকাও প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।

গত ২ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Ads
Ads