বজ্রপাতে থেমে গেল বাঘের গর্জন!

  • ২১-Dec-২০১৯ ০১:৫১ অপরাহ্ন
Ads

:: ক্রীড়া প্রতিবেদক ::

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অধরা জয়ের দেখা পেল সিলেট থান্ডার। আসরের একমাত্র অপরাজিত দল খুলনাকে হারিয়ে জয়ের স্বাদ পেয়েছে দলটি। বিপিএলের অষ্টম ম্যাচ ডে-তে দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৮১ রানে হারিয়েছে সিলেট।

দলের এই জয়ে জিভনি ফুটওয়্যার এন্ড ক্রাফটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিলেট থান্ডারের চেয়ারপারসন মহিউদ্দিন মিয়া মঈন বলেন, টানা ৪ হারের পর হলেও আমরা সিলেট থান্ডার ঘুরে ধারাতে পেরেছি এটাই আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমাদের দলের সামনে আরও ৭টি ম্যাচ রয়েছে। দল হিসেবে খেলতে পারলে আমরা অবশ্যই ভালো অবস্থানে যাবো।

এদিকে বাজার২৪ লিমিটেডের চেয়ারপারসন, এফবিসিসিআই পরিচালক, ভোরের পাতা ও দ্যা পিপলস টাইমস সম্পাদক ও প্রকাশক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য ও ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং সিলেট থান্ডারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও ভাইস চেয়ারম্যান ড. কাজী এরতেজা হাসান দলের এই ব্যাপক জয়ে খেলোয়ারদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দাপুটে এমন একটি জয়ের প্রত্যাশায় ছিলাম আমরা। অবশেষে ব্যাটে বলে বজ্রপাত হানিয়ে খুলনা টাইগার্সকে কুপোকাত করার মধ্যদিয়ে খেলোয়াড়রা নিজেদের সামর্থ্য ফুটিয়ে তুলেছেন। এই ধারাবাহিকতা পরবর্তী ম্যাচ গুলোতে ধরে রাখতে হলে খেলোয়াড় এবং টীম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে খুবই আন্তরিক বন্ধন সৃষ্টি করতে হবে। ইতিমধ্যে হোটেলে ফিরে এবারের আদর্শিক বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সিলেট থান্ডারের প্রথম দাপুটে জয় কেক কেটে উৎযাপন করেছে ক্রিকেটাররা।

প্রথমে ব্যাট করে ২৩২ রানের বড় সংগ্রহ পায় সিলেট। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই কোনো রান না করে আউট হন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। এরপর ৭৪ রানের জুটি গড়েন সাইফ হাসান ও রাইলি রুশো। ২০ রান করে সাইফ আউটের পরই শুরু হয় খুলনার ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন রুশো। তিনি করেন ৫২ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে ফ্রাইলিংকের ব্যাট থেকে। বাকি কেউই ব্যাট হাতে তেমন অবদান রাখতে পারেনি। ৯ বল বাকী থাকতে ১৫২ রানেই অল আউট হয় মুশফিকের দল।

সিলেটের হয়ে ৩ উইকেট নেন ক্রিসমার সান্তোকি। এছাড়া মনির হোসেন ও এবাদত হোসেন দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টস জিতে সিলেটকে ব্যাট করতে পাঠান খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। আসরে নিজেদের প্রথম জয়ের খোঁজে নামে সিলেট। বরাবরের মতোই শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। প্রথম ওভারেই তারা হারায় আব্দুল মজিদকে।

তবে এরপর শুরু হয় ফ্লেচার-জনসন ঝড়। ক্যারিবিয়ান সাগরপাড়ের দুই ব্যাটসম্যান ক্যালিপসো সুর তোলেন সাগরিকায়। একের পর এক বল সীমানাছাড়া করতে থাকেন তারা। মাত্র ৭০ বলে ১৫০ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন তারা। ফ্রাইলিংক এ জুটি ভাঙ্গার আগে ৩৮ বলে ৯০ রান করেন জনসন চার্লস। তবে ফ্লেচার থেমে থাকেননি। মাত্র ৫৩ বলে তুলে নেন এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি। মাঝে মিথুন ৩, মোসাদ্দেক ও নাজমুল হোসেন মিলন ১১ রানে আউট হন। এবারের বিপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এবং দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সেরা পার্টনারশিপ করে সিলেট থান্ডার।

ইনিংস শেষে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন ফ্লেচার। অপরপ্রান্তে সোহাগ গাজী ২ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। খুলনার সেরা বোলার ফ্রাইলিংক নেন ২ উইকেট।

Ads
Ads